রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

আতঙ্কে বঙ্গ BJP’র নেতা-নেত্রীরা, কর্মীরা তাঁদের ‘বন্দি’ করে রাখবে না তো!

October 6, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে যখন তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলন তীব্র করছে তখন বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল আরও কদর্য জায়গায় পৌঁছেছে। একটি জেলায় ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা হচ্ছে তো আর এক জেলায় তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের পর এবার পার্টি অফিসে তালাবন্দি হয়ে রইলেন দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।

অনেকেই বলছেন, এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যা ঘটল, তা বিজেপির মতো ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ দলে বেমানান। এদিন শুধু অমিতাভ চক্রবর্তীই নন ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছিল রাজ্যের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ও। পার্টি অফিসে সভাপতির চেম্বারে ঢুকে দরজা বন্ধ করে কয়েক ঘণ্টা আত্মগোপন করেছিলেন জয়নগরের জেলা সভাপতি।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়নগর লোকসভা এলাকার বৈঠক করতে বারুইপুরে গিয়েছিলেন অমিতাভ ও জগন্নাথ। বিজেপির সাংগঠনিক জয়নগর জেলার সভাপতি উৎপল নস্করকে নিয়ে কর্মীদের অভিযোগ ছিল। মূল অভিযোগ ‘স্বজনপোষণ’ নিয়ে। দুই রাজ্য নেতাকে কাছে পেয়ে সেই সব অভিযোগ শোনাতে চান জেলার অন্য নেতারা। যোগ দেন এক দল কর্মীও। বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। একটা সময়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে যায় যে, দুই নেতাকে ঘণ্টা তিনেক দলীয় দপ্তরে আটকে রাখা হয়।

৭টি জেলার সভাপতি পদে রদবদল করেছে বিজেপি। এর পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। রদবদলে তমলুক সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির নতুন সভাপতি হয়েছেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। বিজেপিতে ‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত তাপসী দায়িত্ব পেয়ে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করতেই রাজনীতি ছাড়ার হুমকি দেন নন্দীগ্রামের ‘আদি’ নেতা প্রলয় পাল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বিজেপি ধরে রাখতে পারলেও নন্দীগ্রামের জেলায় গেরুয়া শিবিরের ‘অস্বস্তি’ কাটেনি। তবে শুধু তমলুক নয়, সব জেলা নিয়েই অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অনেকেই এখন রসিকতা করে বলছেন, রাজ্যে বিজেপি’র যা অবস্থা তাতে এখন দলের নেতা-নেত্রীরা ভয়ে রয়েছেন- তাঁদের আবার কেউ আটকে রাখবে না তো!

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#workers, #BJP West Bengal, #sukanta majumder, #bjp workers, #amitava chakravorty, #West Bengal

আরো দেখুন