গোলবাড়ির পরোটা-কষা মাংস খেয়ে কোন গান বানিয়েছিলেন নচিকেতা ঘোষ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নচিকেতা ঘোষ আর গৌরীপ্রসন্ন মুজমদার ছিলেন হরিহর আত্মা। প্রাণের বন্ধু। নচিকেতা ঘোষের সঙ্গে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব, একেবারে পারিবারিক সম্পর্কের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সুরকার আর গীতিকারের এহেন বন্ধুত্বর দৌলতে একের পর এক কালজয়ী গান তৈরি হয়েছে। জন্মদিনের ফুল পেলেন গৌরীপ্রসন্ন। পাশে বন্ধু নচিকেতা ঘোষ। কেউ একজন বার্থ ডে বয়ের হাতে রজনীগন্ধা ধরিয়ে দিল। লিখে ফেললেন, ‘এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম আমি চললাম’, সুর দিলেন নচিকেতা তৈরি হল গান।
দুই বন্ধুর একে অন্যের বাড়ি যাওয়া লেগেই থাকত। প্রত্যেক দিন সকালে শ্যামবাজারে ঘোষবাড়িতে চলে আসতেন গৌরীপ্রসন্ন। তার পর গান লেখা, সুর দেওয়া চলত। আড্ডা আসর বসত, আর সেই সঙ্গে খাওয়াদাওয়া। ঘোষ বাড়ির পরিচারকদের সঙ্গেও তাঁর খাতির ছিল। ঘোষবাড়ির পুরনো পরিচারক ছিলেন মন্দক। নচিকেতা যাঁর কোলে পিঠে চড়ে মানুষ। সেই মন্দক পুরনো লিলি বার্লির কৌটোয় টাকা জমাতেন। সেই জমানো পয়সা চুরি করে দুই বন্ধু প্রায়শই চপ কাটলেট খেতেন। এমনই এক দিন পয়সা চুরি করে গোলবাড়ির পরোটা আর কষা মাংস খেতে খেতেই গৌরীপ্রসন্ন লিখলেন, ‘আমার গানের স্বরলিপি লেখা রবে’। নচিকেতা সুর করে ফেললেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গাইলেন। তৈরি হয়ে গেল একটি কালজয়ী গান।