তিস্তা বিপর্যয়ের নেপথ্যে কি সেবক-রংপো রেল প্রকল্প? উঠছে প্রশ্ন

সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের ডিরেক্টর মহিন্দর সিংয়ের বক্তব্য, রেল প্রকল্প অবধি তিস্তার জল না পৌঁছানোয় সরাসরি কোনও ক্ষতি হয়নি

October 11, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তিস্তার ধ্বংসলীলায় বিপর্যস্ত সিকিম, বিপর্যয়ে জেরে কাঠগড়ায় সেবক-রংপো রেল প্রকল্প। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পাশাপাশি সেবক-রংপো রেল প্রকল্প ঘিরেও অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বড় তিস্তার গ্রাসে চলে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বাংলা ও সিকিমের মধ্যে ট্রেনের চাকা কবে গড়াবে? কিছুই বলা যাচ্ছে না। কাজ থমকে রয়েছে। সিমেন্টে বাড়ন্ত, ডিজেল ফুরিয়ে এসেছে।

সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের ডিরেক্টর মহিন্দর সিংয়ের বক্তব্য, রেল প্রকল্প অবধি তিস্তার জল না পৌঁছানোয় সরাসরি কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু গেইলখোলা ও তিস্তাবাজারের মধ্যে জাতীয় সড়ক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজেল না মেলায় কাজ বন্ধ রয়েছে।

উত্তর সিকিমের দক্ষিণ লোনাক লেক বিপর্যয়ের জেরে তিস্তায় থাকা একের পর এক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও তিস্তাপাড়ের সেবক-রংপো রেল প্রকল্প নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। চুংথাং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডিকচু, সিংতাম, কালিঝোরার মতো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি। রেল প্রকল্পর জন্য তিস্তাপাড়ের পাহাড় আরও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে বলেই অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের।

জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে সতর্ক বার্তা পেয়ে প্রকল্পের কাজে যুক্ত শ্রমিক, কর্মীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার, আধিকারিকরা নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন। কিন্তু ডিজেল শেষ হয়ে যাওয়ায় কোনও মেশিনই চলছে না নির্মাণ কাজ বন্ধ। সাধারণ ঢালাইয়ের কাজও বন্ধ করে দিতে হবে, কারণ সিমেন্টও শেষ হওয়ার পথে। সেবক-রংপোর দুই প্রান্তই বন্ধ হয়ে থাকায়, রেল প্রকল্পটির কাজ থমকে গিয়েছে। ঠিকাদারি সংস্থার একটি প্ল্যান্ট ও সেখানে থাকা যাবতীয় সামগ্রী তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen