পাকিস্থানে নিহত ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট – সমাজ মাধ্যমে নীরজ-যোগ কেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের অন্যতম, সহিদ লতিফ আজ পাকিস্তানের শিয়ালকোটে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। লতিফ ২০১৬ সালের পাঠানকোট সন্ত্রাসী হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল যাতে ৭ নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়।
লতিফের হত্যা পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের উপর ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ ঘটনা। গত মাসে করাচিতে মুফতি কায়সার ফারুক ও লস্করের জিয়াউর-রহমান নিহত হন। ফেব্রুয়ারিতে, শীর্ষ হিজবুল কমান্ডার বশির আহমেদ পিয়ার রাওয়ালপিন্ডিতে নিহত হন।গত ১৮ মাসে পাকিস্তানে আরও বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ গুরুদ্বারের বাইরে গত ১৮ই জুন গুলি করে হত্যা করা হয় হরদীপ সিং নিজ্জারকে। কানাডার হাউজ অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান যে জানান যে কানাডার নাগরিক নিজ্জারের হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের গুপ্তচরদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ নিয়ে কানাডার নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ করছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে লতিফকে একটি মসজিদের ভিতরে হত্যা করা হয়েছে এবং তারা এখনও হামলাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছে। হামলায় নিহত হয়েছে আরেক জইশ সন্ত্রাসী। বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় এবং পুলিশ হত্যার তদন্ত শুরু করেছে।
লতিফ শিয়ালকোটের নূট মসজিদে মৌলভী হিসেবে কাজ করতেন।
জইশ-ই-মোহাম্মদের সাথে যুক্ত লতিফ শিয়ালকোট থেকে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো ৪ সন্ত্রাসবাদীকে গাইড করেছিল। ২ জানুয়ারী, ২০১৬-এ পাঠানকোট এয়ার ফোর্স স্টেশনে চারটি জেএম সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে পড়লে ভারতীয় বায়ুসেনার সাতজন কর্মী নিহত হয়৷ এই এনকাউন্টার তিন দিন ধরে চলে৷
১৯৯৪ সালে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে ভারতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় এবং জেলে পাঠানো হয়। ২০১০ সালে তার সাজা শেষ হয়, তারপরে তাকে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে নির্বাসিত করা হয়েছিল।
৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে ২০১০ সালে ভারত সরকার একটি ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছিল।
সিনেমায় যেরকম দেখান হয়, সেরকম ভাবেই কি ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করে দেশের শত্রুদের সাফ করেছে ‘RAW’ অন্যকোনও গুপ্ত এজেন্সি – এরকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সমাজ মাধ্যমে। কেউ কেউ বলছেন, এই ঘটনা নিয়ে স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করে দিয়েছেন ‘বেবি’ এবং ‘নাম শাবানা’ খ্যাত পরিচালক নীরজ পান্ডে!