বাংলার দুগ্গা পুজো: জানেন কি নদীয়ার শতাব্দী প্রাচীন ঘোষবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব?

শতাব্দী প্রাচীন দুর্গার গাত্রবর্ণ শিউলি ফুলের বোঁটার রঙের, লাল রঙের গণেশ আর সবুজ রঙের অসুরই বিশেষত্ব কল্যাণীর ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয়।

October 14, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নদীয়ার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে কল্যাণীর রথতলায় ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো অন্যতম। শতাব্দী প্রাচীন দুর্গার গাত্রবর্ণ শিউলি ফুলের বোঁটার রঙের, লাল রঙের গণেশ আর সবুজ রঙের অসুরই বিশেষত্ব কল্যাণীর ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয়।

জানা গিয়েছে, ঘোষ পরিবারের এক পূর্বপুরুষ রাধাগোবিন্দ ঘোষ বড়ধরণের লবণ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর প্রচুর প্রতিপত্তি ছিল। তিনি এই বাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। প্রতি বছর দুর্গাদালানে দেবীর মুর্তি তৈরি হয়ে আসছে। প্রতিমা হয় টানা চোখের।

এই বাড়ির পুজোর বিশেষত্ব হল মহাষ্টমীর দিন ধুনো পোড়ানো ও কুমারীপুজো। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে লুচি, নারকেল নাড়ু, চিনি-সন্দেশের ভোগ হয়। একসময় পুজোর দিনগুলিতে বাড়ির সিংহ দুয়ারের দুপাশে ঢোল বাজত। সন্ধ্যার পর হ্যাজাক জ্বালিয়ে বসত যাত্রাপালার আসর। নবমীতে নারায়ণ সেবা, বস্ত্রদান করা হতো।

দশমীতে বাড়ির লেঠেলরা বাঁশের উপর প্রতিমাকে বসিয়ে কাঁধে করে পাশের বাঁশবেড়িয়া ঘাটে নিরঞ্জন করতে নিয়ে যেত। তবে এখন লেঠেলদের পরিবর্তে বিসর্জনের জন্য ম্যাটাডরে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen