মহালয়ার আগেই পুজোর মুডে চলে এসেছে বাঙালি, শপিং-প্যান্ডেল হপিং চলছে একসঙ্গে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেবীপক্ষের সূচনা এখনও হয়নি। মণ্ডপগুলিতে পর্যন্ত এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাস্তাঘাটে ব্যারিকেডের জন্য গর্ত সবে খোঁড়া হয়েছে। আলোর মালায় সেজে নেই ওঠেনি কলকাতা। কিন্তু শিউলি ফোটার গন্ধে দিব্যি টের পাওয়া যাচ্ছে, পুজো এসে গিয়েছে। আর রাস্তায় নেমে পড়েছে বাঙালি। শুধু তাই নয় কলকাতার পুজো দেখতে এবার ১২টি দেশের প্রতিনিধি এসেছেন। আর তাঁরা ইতিমধ্যেই বেরিয়ে পড়ছেন ঠাকুর দেখতে।
ইউনেসকো, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং এক বেসরকারি উদ্যোগে পুজো দেখা শুরু হয়ে গেছে একদিন আগেই। ১১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে শহরের নামকরা ২৬টি পুজো দেখবেন বিদেশ থেকে আসা অতিথিরা। আবার বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের একঝাঁক পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মানুষের উৎসাহ একলাফে দ্বিগুণ।
গড়িয়াহাটে বৃহস্পতিবার দুপুরেই দক্ষিণ কলকাতার হিন্দুস্তান পার্ক, একডালিয়া এভারগ্রিন, ত্রিধারা সম্মিলনীতে অবাক চোখে মণ্ডপের কারুকার্য দেখতে জড়ো হয়েছিলেন তরুণ-তরুণী থেকে মধ্যবয়স্ক দম্পতি। ফোনে ছবি তুলতে তুলতে এক ব্যক্তি তো বলেই ফেললেন, ‘একেই বলে রথ দেখা আর কলা বেচা। এগুলো দেখে নিলাম, আর পুজোয় আসতে হবে না।’ শুনে আর এক ব্যক্তির সরস মন্তব্য, ‘পুজোয় আসতেই হবে। এ তো সেই মাধ্যমিকের সেন্টার দেখার মতো রাস্তা চিনে গেলাম।’ মহালয়ার আগেই যেন পুরোপুরি পুজোর মুডে চলে এসেছে আম জনতা। তাই সজাগ প্রশাসনও। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তায় বাঁশ-শালবল্লার ব্যারিকেড বাঁধার চেষ্টা শুরু করেছে পূর্তদপ্তর। সেগুলির ভিতর দিয়েই হেঁটে মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। আর বাঙালির চ্যালেঞ্জ, সেসবের আগেই সব প্যান্ডেল ঘুরে দেখে নিতে হবে।