দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে এবছর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গা পুজো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সেবার দুর্গাপুজোর কয়েকদিন আগে স্বামী বিবেকানন্দ স্থির করেছিলেন বেলুরমঠে দুর্গোৎসব করা হবে প্রতিমা সহ। সেই মতো তাঁর প্রিয়পাত্র স্বামী ব্রহ্মানন্দ ওরফে রাজা নেমে পড়েছিলেন আয়োজনে। ১৯০১ সালে বেলুরমঠে প্রথম দুর্গোৎসবের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল ইতিহাস। এবার এক নতুন ইতিহাস রচিত হচ্ছে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনে। এবার শারোদৎসবে ব্রতী হতে চলেছে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশন। ৯৬ বছরে যা প্রথম।
এবছর আগস্টে দিল্লিতে এসেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের জেনারেল সেক্রেটারি স্বামী সুবীরানন্দ। আর তাঁকে পেয়েই ভক্তদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছাপূরণের আর্জি পেশ করলেন স্বামী সর্বলোকানন্দ। দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনের বর্তমান সেক্রেটারি। প্রথমে মৌখিক। তারপর লিখিত। বেলুড় মঠের অছি পরিষদে বসল বৈঠক। হল আলোচনা। মিলল সর্বসম্মত সম্মতি। আর তা মিলতেই শুরু হয়ে গেল প্রতিমা পুজোর আয়োজন।
নয়াদিল্লির পাহাড়গঞ্জে বেলুড় মঠের শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরের আদলেই তৈরি মন্দিরে এতদিন স্রেফ অষ্টমীর দিন দেবী দুর্গার ছবিতে পুজো হতো। এবার যা বদলে যাচ্ছে প্রতিমায়। মিশনে তাই সাজ সাজ রব। পুজো আয়োজনের ব্যস্ততা।
মিশনের সামনের জমিতেই তৈরি হয়েছে পুজোর বেদি। পাশাপাশি থাকছে সপ্তমী থেকে নবমী ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা। স্বামী সর্বলোকানন্দের তত্ত্বাবধানে ভাস্কর রায়, সুব্রত দাসের মতো মিশন অন্তপ্রাণ ভক্তরা শামিল হয়েছেন পুজোর খুঁটিনাটি কাজে। কৃষ্ণনগরের প্রতিমাশিল্পী বিশ্বজিৎ পাল গড়ছেন একচালার প্রতিমা। বীরভূম থেকে আসছেন ছ’জন ঢাক-ঢোল-কাঁসি বাদক। স্বামী সর্বলোকানন্দ বলেন, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পুজোর আয়োজন হচ্ছে।