BJP সাংসদ দুবের ডিগ্রি নিয়ে সোচ্চার মহুয়া, চাইলেন তদন্ত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। অভিযোগ, অন্য এক ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কাছ থেকে টাকা ও উপহার নিয়ে লোকসভায় আদানিদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। লোকসভার অধ্যক্ষর কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজেরও দাবি। রণংদেহী মেজাজে অভিযোগের জবাব দিতে দেরি করেননি তৃণমূল সাংসদ। যেকোনও তদন্তকেই স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মহুয়া বলেছেন, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায়, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাঁর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে রোখা যাবে না বলেও জানান বাংলার সাংসদ। অন্যদিকে, হিরানন্দানি গ্রুপ সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে।
অভিযোগের জবাবে একযোগে বিজেপি, আদানি গোষ্ঠী এবং সিবিআইকে আক্রমণ করেছেন মহুয়া। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একের পর এক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, আদানি গোষ্ঠী যদি তাকে চুপ করানোর জন্য বা টেনে নীচে নামানোর জন্য সঙ্ঘবাদী আর ভুয়ো ডিগ্রিওয়ালাদের মিথ্যে দলিলে বিশ্বাস করবে বলে ঠিক করে থাকে, তবে তিনি আদানিদের পরামর্শ দিচ্ছেন সময় নষ্ট করবেন না বরং আইনজীবীদের ভাল কাজে ব্যবহার করুন।
নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় বিজেপি সাংসদ ভুয়ো ডিগ্রি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ আনছেন মহুয়া। গোন্ডার সাংসদকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ভুয়ো ডিগ্রিওয়ালা ও বিজেপির অন্যান্য বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে একাধিক স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ বকেয়া। সেগুলির দ্রুত তদন্ত শেষ করার আর্জি জানাচ্ছি অধ্যক্ষর কাছে।
আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপিকেও আক্রমণ করেছেন মহুয়া। গেরুয়া শিবিরের এ’সব অভিযোগকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা বলে খারিজ করেছেন মহুয়া। তীব্র ভাষায় জবাব দিয়ে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, ফালতু কাগজপত্র তৈরি করে এভাবে ‘সঙ্ঘি ও জাল ডিগ্রিওয়ালারা’ আদানি গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারি নিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করতে পারবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, তিনি সিবিআইকে স্বাগত জানাচ্ছি। তারা তদন্ত করতেই পারে। তার আগে আদানিদের অর্থ বিদেশে কীভাবে বিদেশে যাচ্ছে, তাদের বেনামি অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত শেষ করতে হবে। তিনি আরও লিখছেন, আশা করব, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি তাঁর চৌকাঠে পৌঁছনোর আগে আদানির কয়লা দুর্নীতি নিয়ে অন্তত একটি এফআইআর দায়ের করবে। মহুয়া আরও অভিযোগ করেছেন, আদানি হয়ত বিজেপির সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে তার প্রতিযোগীদের দৌড় থেকে ছিটকে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। এয়ারপোর্টও কিনতে পারে। এরপরেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি লিখছেন, “আমার সঙ্গে এক বার চেষ্টা করে দেখুক।”