পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

মহানবমী ও বলিদানের নিরামিষ মাংস

October 11, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ মহানবমী, বাঙালির কাছে দিনটি বিশেষ প্রিয়। উৎসবের আমেজ থাকে মধ্যগগনে, সেই সঙ্গে জোরদার খাওয়া-দাওয়া। সব্বাই মনে মনে চায়, নবমী যেন না ফুরোয়। বাঙালি আজকের দিনে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করবে না। এদিনে মাংসে রসনা তৃপ্তি ঘটে বাঙালির।

নবমীর দিন পুজোর আচারের মধ্যে অন্যতম হল বলিদান। কোথাও প্রাণী বলি দেওয়া হয়, যেমন পাঁঠা, মহিষ আবার কোনও কোনও জায়গায় কুমড়ো, চাল কুমড়ো, লাউ, আখ ইত্যাদি বলিও চলে। এদিনই আমিষ খাওয়ার নিয়ম। যদিও এর নেপথ্যে পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে।

দেবীপূরাণ অনুযায়ী, চণ্ড ও মুণ্ড; দুই প্রকাণ্ড বলশালী এবং অত্যাচারী অসুরকে বিনাশের জন্য দেবী দুর্গা ভয়ঙ্কর চামুণ্ডা মূর্তি ধারণ করেছিলেন। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিমুহূর্তে দেবী তাদের সংহার করেছিলেন। অন্যদিকে, রামায়ণে বলা হয়েছে সন্ধি মুহূর্তেই রামচন্দ্রের ব্রহ্মাস্ত্র রাবণের দেহ ভেদ করেছিল। দশমীর দিন রাবণের বিনাশ হয়।

সেই কারণেই বাংলায় সন্ধিপুজোর পর আমিষ ভক্ষণের অনুমতি ছিল। কেবল মাংসই নয়, কোথাও কোথাও নবনীর দিন পুজোর ভোগ হিসেবে মাছ নিবেদন করারও চল ছিল। বেহালার সাবর্ণ চৌধুরীদের বাড়িতে সন্ধিপুজোয় ল্যাটামাছ পোড়া ভোগ দেওয়া হত। ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়ে কনক দুর্গামন্দিরে নবমীর দিন দেবীকে হাঁসের ডিম দেওয়া হয়। 

বাঙালি বহুদিন ধরে সন্ধিপুজোর পরই মাংস খেয়ে আসছে। একদা বলি ছাড়া মাংস মুখে তুলত না সম্ভ্রান্তরা। অন্য মাংসকে বলা হত বৃথা মাংস। দুর্গাপুজোর বলির মাংস তো যে সে মাংস নয়। মায়ের জন্য মাংস উৎসর্গ করা হয়। তাই বলির মাংস বিশেষভাবে রান্না করা হয়। একে নিরামিষ মাংস বলা হয়। নিরামিষ মাংস রান্নায় পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার করা হয় না। আদা ও জিরে বাটা দিয়েই মাংস রাঁধা হয়।​

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga Pujo, #Mutton, #durga puja, #Durga Puja 2023

আরো দেখুন