রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সুখবর, এবার করোনা চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত করা হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পে

August 9, 2020 | 2 min read

রাজ্য সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্পে করোনার চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করা হল। রাজ্য সরকারি কর্মী, পেনশন প্রাপক ও তাঁদের পরিবারের নথিভুক্ত সদস্যরা এর সুবিধা পাবেন। ওয়েষ্ট বেঙ্গল হেল্থ স্কিমে নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি হলে, করোনা চিকিৎসার খরচের বিল পেশ করে সরকারের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার সুযোগ (রি-ইমবার্সমেন্ট) পাবেন তাঁরা। রাজ্য অর্থদপ্তরের মেডিক্যাল সেল গত ৬ আগস্ট এই সংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ওই তারিখ থেকে এটি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এই বিজ্ঞপ্তিতে নথিভুক্ত হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা, পিপিই সহ রোগ প্রতিরোধক উপকরণ, ডাক্তারের ফি প্রভৃতি খাতে অনুমোদিত খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ২,২৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একজন কোভিড আক্রান্তের তিনবার পর্যন্ত পরীক্ষা করানো যাবে। পিপিই প্রভৃতির জন্য এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ডাক্তারের ফি দিনে এক হাজার টাকা। টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের ক্ষেত্রে ডাক্তারের ফি অবশ্য ৬০০ টাকা ধার্য হয়েছে। করোনা আক্রান্তকে নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট/আইসোলেশন বেডে রেখে চিকিৎসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ হবে, তাঁরাও দু’দিন প্রাইভেট/আইসোলেশন বেডে থেকে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। নেগেটিভ রোগীরা এরপর অন্য রোগের চিকিৎসা করালে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট বেড বরাদ্দ হবে। কেউ নথিভুক্ত হাসপাতালে পরিকল্পিত চিকিৎসা বা অপারেশন করানোর জন্য ভর্তি হতে গিয়ে আগাম করোনা পরীক্ষা করালেও সেই টাকা রিইমবার্স করাতে পারবেন। তবে ওই পরীক্ষা সরকারি নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে করাতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর খরচের বিল পাওয়া নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চিন্তা ছিল। এই বিজ্ঞপ্তি তা দূর করল। রাজ্য সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পে পাঁচ লক্ষের মতো সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগী নথিভুক্ত আছেন। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে তার খরচ সরকারের কাছ থেকে পাওয়ার সুযোগ তাঁরা পান। কোন রোগের চিকিৎসায় কী হারে খরচ দেওয়া হবে, তা সরকার নির্ধারণ করে দেয়। এবার করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেটাই করা হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Coronavirus, #Government Employees, #swasthya sathi prokolpo

আরো দেখুন