‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া’ বিতর্ক শিক্ষা ক্ষেত্রেও, পাঠ্যপুস্তকে ‘ইন্ডিয়া’ মুছে শুধুই ‘ভারত’!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিরোধী জোটের নামকরণের পর থেকেই ইন্ডিয়া বনাম ভারত বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন সংবিধান সংশোধন করে ‘ইন্ডিয়া’ ছেঁটে ফেলে শুধু ভারত নামটিকেই স্বীকৃতি দিতে পারেন বলেও জল্পনা চলছে। এরই মাঝে এবার স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’ মুছে ফেলে তর জায়গায় ‘ভারত’ যুক্ত করার সুপারিশ দিল ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি।
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এনসিইআরটি কমিটির চেয়ারম্যান সিআই আইস্যাক বলেছেন, ‘স্কুলের পাঠ্যবই থেকে ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ লেখার সুপারিশ করেছে এনসিইআরটি কমিটি।’ প্রসঙ্গত, বিগত দিনে শিক্ষার গৈরিকীকরণ করা নিয়ে অভিযোগ করে এসেছেন বিরোধীরা। এই আবহে এবার ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া’ বিতর্কের আঁচ গিয়ে পড়ল শিক্ষা ক্ষেত্রে।
সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জি২০ শীর্ষবৈঠকে অংশ নেওয়া বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসার পরেই জল্পনা শুরু হয়, লোকসভা ভোটের আগে দেশের নাম শুধুই ‘ভারত’ করতে চলেছে মোদী সরকার। কারণ, ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। কিন্তু জি২০-র রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, আচমকা এমন বদলের কারণ কি?
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই জন্ম নিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলের বৃহত্তর জোটের। সেই জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এরপরই জাতীয় রাজনীতিতে ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ বিতর্ক শুরু হয়।
ইংরেজিতে দেশের নাম ভারত নাকি ইন্ডিয়া, তা নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা তর্ক, বিতর্ক চলছে দেশ জুড়ে।