ফরাসি সংস্থাকে টেক্কা দিয়ে সাফল্যের নয়া পালক চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভের মুকুটে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাফল্যের নয়া নজির গড়ল চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্ক, ফরাসি সংস্থাকে টেক্কা দিয়ে অত্যাধুনিক ১২ হাজার হর্সপাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন গড়েছে তারা। মঙ্গলবার সেই ইঞ্জিন যাত্রা করেছে। জানা গিয়েছে, ডব্লুএজি ৯ টুইন লোকোমোটিভ ইঞ্জিনটি ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ৪৫ থেকে ৫০টি ওয়াগেন যুক্ত রেককে টেনে নিয়ে যেতে পারবে। প্রস্তাবিত ফ্রেট করিডরের কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে।
সিএলডব্লুর জিএম দেবীপ্রসাদ দাস সবুজ পতাকা নেড়ে ইঞ্জিনের যাত্রা আরম্ভ করেন। দাবি উঠছে, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তি বাতিল করে বা কমিয়ে সেই বরাত সিএলডব্লুকে দেওয়া হোক। এতে একদিকে মোদী সরকারের কয়েকশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে সিএলডব্লুও উজ্জীবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নামাঙ্কিত রেলইঞ্জিন কারখানা গড়ে ওঠে। সম্প্রতি ন’হাজার ও ১২ হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন তৈরিতে উদ্যোগী হয় রেল। যদিও সিএলডব্লুকে সে’সব ইঞ্জিন তৈরিতে বরাত দেওয়া হয়নি। বেসরকারি ফরাসি সংস্থাকে ১২ হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন সরবরাহের বরাত দেওয়া হয়। বিহারের মধুপুরায় একটি অ্যাসেম্বল ইউনিট বানিয়ে তারা ইঞ্জিন তৈরি করে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিএলডব্লুর সবকটি শ্রমিক সংগঠন। রেল বোর্ডের বৈঠকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তারা জানায়, একই মানের ইঞ্জিন বানাতে পারে চিত্তরঞ্জন। পরীক্ষামূলকভাবে ন’টি ইঞ্জিন তৈরির বরাত দেওয়া হয়, মাস খানেকের মধ্যে সফলভাবে প্রথম ইঞ্জিনটি যাত্রা করল। নয়া ইতিহাস লিখলো চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ।