জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

বাঙালি ব্যবসা পারে না ?- মিথ ভেঙেছিলেন স্যর বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

November 4, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঙালি শিল্পপতি স্যর বীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি লিমিটেড (ইস্কো)-এর রূপকার ছিলেন স্যর বীরেন মুখার্জী। এক জন প্রকৃত আত্মনির্ভর বাঙালি ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ। পরাধীন দেশের প্রধান শিল্পোদ্যোগী স্যর রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সন্তান বীরেন্দ্রনাথের জন্ম ১৮৯৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ইস্কোকে আধুনিক করে তুলেছিলেন তিনি। শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্নাতক, কেমব্রিজের পোস্টগ্র্যাজুয়েট ১৯৩৩ সালের ২৬ জুন ইস্কোর বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরই বীরেনই ইস্কোর অধিপতি হয়ে বসেনে। ১৯৫৭ সালে তিনি ইস্কো কারখানার বোর্ড অব ডাইরেক্টর্সের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন। এরপর ইস্কো সাফল্যের চরমে ওঠে। টানা ১৫ বছর তিনি সংস্থার পরিচালন ভার সামলেছেন।

১৯৩৬ সালে কুলটির ‘বেঙ্গল আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি’কে ইস্কোর সঙ্গে যুক্ত করেন। মার্টিন বার্ন গ্রুপের উদ্যোগে ১৯৩৯ সালে বার্নপুরে ‘স্টিল কর্পোরেশন অব বেঙ্গল’ নামে আরেকটি ইস্পাত সংস্থার জন্ম হয়। ১৯৫৩ সালে সেই সংস্থাটিকেও ইস্কো-র সঙ্গে সংযুক্ত করেন স্যর বীরেন্দ্রনাথ। ১৯৫৭ সালে স্যর বীরেন ইস্কোর পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হন। তিনিই নিজ উদ্যোগে বার্নপুরে উন্নত মানের লোহা গলানোর চুল্লি (ব্লাস্ট ফার্নেস) বসিয়েছিলেন। কুলটিতে উন্নত মানের পাইপ তৈরি শুরু হল। পরবর্তী কালে এই পাইপ বিশ্বের বাজারে সুনাম অর্জন করে। স্যর বীরেন তৈরি করালেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ, ৫৩ কিমি দূরত্বের রোপওয়ে ব্যবস্থা। চাষনালা থেকে বার্নপুর পর্যন্ত কয়লা বহন করত এই রোপওয়ে। বীরেনের সঙ্গে ইস্কোর প্রায় ৪২ বছরের সম্পর্ক ছিল। নানা পদে থেকে কাজ করেছেন।

১৯৪১ সালে কলকাতার শেরিফ হওয়ায় পর, ১৯৪২ সালে তিনি ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯৮২ সালের ৪ নভেম্বর, অর্থাৎ আজকের দিনে এই কর্মবীর মহামানবের জীবনাবসান হয়। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Birendranath Mukherjee

আরো দেখুন