স্বপ্নাদেশে দেবী বললেন পুজো শুরু করতে, ডাকাত কালীর কাহিনি জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পোলবা দাদপুরে জঙ্গলে ঘেরা ডাকাতদের ঘাঁটি, সেখানকার ডাকাত সর্দারকে স্বপ্নে দেখা দিলেন দেবী। আদেশ দিলেন দেবী, ‘জঙ্গলের ওই পুকুরটিতে আছি আমি। আমায় জল থেকে তুলে পুজো শুরু কর।’ সর্দার লোকলস্কর নিয়ে গিয়ে জল থেকে মূর্তি উদ্ধার করলেন। ডাকাতরা পুজো আরম্ভ করল।
আজও পোলবা দাদপুরের কড়োলা গ্রামে ডাকাতদের শুরু করা পুজো হয়ে চলছে। কালীর সেবাইত এখন নিপাট গৃহস্থ এক মানুষ। ঠাকুরের মাহাত্ম্য মুখে মুখে ঘোরে আজও। দেশ বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন। গভীর রাতে নূপুরের আওয়াজ পেলে গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন, মা সরস্বতী নদীতীরে পায়চারি করছেন।
কথিত আছে, অনেকেই স্বপ্নে কালীর ওষুধ পান। সে ওষুধের কল্যাণে অনেকেই মা ডাক শুনেছেন। মন্দিরে এখন বলি বন্ধ। পুজোর বয়স প্রায় ৪০০ বছর। মা এখানে দক্ষিণা কালী রূপে পূজিতা। মার্বেলের সিংহাসন তিনি বিরাজ করছেন।
ডাকাত সর্দার স্বপ্নাদেশ অনুসারে বড় মায়ের মূর্তি বানিয়েছিলেন। সেই মূর্তিই মন্দিরে রয়েছে। প্রতিদিন নিত্য পুজো হয়। কালীপুজোর দিন সকাল থেকে শুরু পুজো ও অঞ্জলি। খিচুড়ি, নানারকম ভাজা, একাধিক তরকারি, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি দেবীকে নিবেদন করা হয়। রাতে লুচি, ভাজা, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি দেওয়া হয়। পুজোর দিন বেনারসি শাড়িতে রাজবেশে সাজানো হয় মাকে। ভক্তদের বিশ্বাস আকুল হয়ে ডাকলে মা সাড়া দেন। তাদের বিশ্বাস কোড়লা হলেন গ্রামের রক্ষাকর্তা।