বাড়িতেই অভ্যাস করুন শরীরচর্চার
আনলক শুরু হলেও অনেকেই এখনও ঘরবন্দী, বিশেষ করে পড়ুয়া ও বয়স্করা। সারাদিন বাড়ির স্টাডি কিংবা ডাইনিং টেবলে, অনেক সময়ে খাটের উপরেও ল্যাপটপ নিয়ে ঘাড় গুঁজে কাজ। শরীরের মুভমেন্ট তলানিতে এসেছে।
ঘরের কাজকর্ম বেড়েছে বটে, কিন্তু অফিস যাতায়াতের পথে দৌড়ঝাঁপ, সিঁড়ি ভাঙার কসরত তো আর করতে হচ্ছে না। বাড়ি থেকে বেরোনোও কমেছে। তাই ঘরে বসেই একটু-আধটু শারীরচর্চা শুরু করলে হয় না?
শুরু করার সূচনা
প্রথমত মনে রাখুন, আপনি সবে শুরু করবেন। তাই ইউটিউবে যাঁরা ব্যায়াম শেখান, তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা দেখে হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না।
প্রথমে দিন ছাদে বা বাড়ির সামনে ৩০-৪০ মিনিট করে হাঁটুন। যতটা জোরে পারেন, ততটা। কয়েক দিন হাঁটা অভ্যেস হলে জগিং করুন। একেবারে উপযুক্ত জুতো পরে। শরীরের জড়তা ভাঙবে, রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, শরীর ব্যায়াম বা ওয়র্ক আউটের জন্য প্রস্তুত হবে।
নিজের সারাদিনের কাজকর্ম একটা রুটিনে বেঁধে ফেলুন। ঘুম থেকে ওঠা, শুতে যাওয়ার সময়টা নির্দিষ্ট করুন। ঠিক সময়ের ব্যবধানে স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়ার অভ্যেসও তৈরী করা দরকার। ব্যায়ামের সুফল পুরোমাত্রায় পেতে হলে এ সবও অপরিহার্য।
এর পর ধীরে ধীরে ফ্রিহ্যান্ড শুরু করুন। স্ট্রেচিং বা বেন্ডিং জাতীয় ব্যায়াম করতে করতে শরীর নমনীয় হবে।
যদি সকালে উঠে ব্যায়াম করে নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব না হয়, তা হলে বিকেলের দিকে বা সুবিধেমতো যে কোনও সময় বেছে নিতে পারেন। শুধু খেয়াল রাখুন, খাওয়াদাওয়া করার পর যেন অন্ততপক্ষে দু-তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ব্যায়াম শুরু হয়।
অনেকটাই তো জানলেন, বাকিটা করতে করতে জানবেন। কাজেই আর দেরী না। শরীরকে কথা শোনান আরও সুস্থ এবং সক্ষম হয়ে ওঠার লক্ষ্যে। তবে অগস্ট মাস থেকে কিছু কিছু জায়গায় জিম খোলার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছে।