দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

খড়গ্রামের এড়োয়ালিতে হয় না বারোয়ারি পুজো, রাজবাড়ির পুজোয় সবাই রাজা

November 7, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রায় পৌনে তিনশো বছর পার করেও রায়চৌধুরীদের পারিবারিক কালীপুজো খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালির সবথেকে বড় উৎসব। একই পরিবারে ১৩ টি কালীপুজো। আর তাতেই মত্ত থাকে গোটা গ্রাম।

শুধু খড়গ্রাম নয়, পাশ্ববর্তী বড়ঞা, কান্দি এমনকী বীরভূম জেলা থেকেও বহু মানুষ এই অঞ্চলে আসেন কালীপুজোর রাতে। রায়চৌধুরী পরিবারের পুজো তাঁদের কাছে এড়োয়ালি রাজ পরিবারে পুজো বলেই প্রসিদ্ধ।

জানা গিয়েছে, বহুবছর আগে গ্রামে একটি মাত্র কালীপুজো হতো। এলাকার জমিদার রামজীবন রায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীর পুজোর প্রচলন করেন। এরপর জমিদারের পরিবার বৃদ্ধির সঙ্গে পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে। বর্তমানে সেখানে জমিদার পরিবারের পক্ষ থেকে ১২টি দীপাণ্বিতা কালী ও একটি রক্ষাকালী পুজো হয়ে থাকে। জমিদারি পুজোগুলি হল, বড়কালী, মটকালী, নিমবুড়ি, চাতরকালী, বেলকালী, টুঙ্গিকালী, কুলকালী, আমরাকালী, মূলকালী, শ্যামকালী, ধর্মকালী, ষষ্ঠীকালী ও চট্টোপাধ্যায় বাড়ির রক্ষাকালী।

অনেকে দুর্গাপুজোয় না পারলেও কালীপুজোয় বাড়ির ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনে দেন। কাজের সূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁরাও দুর্গাপুজোয় না পারলেও কালীপুজোতে বাড়ি ফেরেন। দুর্গাপুজোর বদলে কালীপুজোতে কার্যত প্রতিটি পরিবারে আত্মীয়স্বজন ভিড় জমান। তৈরি হয় নারকেল নাড়ু থেকে রকমারি খাবার। পুজোতে আলোকসজ্জার থেকে প্যান্ডেল, আতসবাজি প্রদর্শন-সহ বিভিন্ন ধরনের বাজনার দল হাজির করা হয়। কোথাও আবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন পুজোগুলি ঘিরে বিভিন্ন লোককথাও প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে মটকালী পুজোর সঙ্গে তারাপীঠের সাধক বামাখ্যাপার নামও জড়িয়ে রয়েছে। বেলকালী ও মটকালীর পুজোর ঘট গঙ্গাজল নয়, ভরা হয় কারণবারি (মদ) দিয়ে। সবক’টি পুজোতেই পশুবলির প্রথা রয়েছে। বড়কালীর পুজোতে পশুবলি দেওয়ার জন্য কয়েকবছর আগেই নাম লেখাতে হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#roychowdhury paribarik kali puja

আরো দেখুন