বিচারপতির সমালোচনা মানেই আদালত অবমাননা নয়, মত প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিচারপতিদের সমালোচনা করা মানেই আদালত অবমাননা করা নয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট জানালেন কোনও বিচারপতির সমালোচনা কখনই আদালত অবমাননা বলে গণ্য হবে না। প্রযোজ্য হবে না আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাও।
প্রধান বিচারপতি পদে বৃহস্পতিবারই এক বছর পূর্ণ হয়েছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের। সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ পদে বর্ষপূর্তির দিন এক সাক্ষাৎকারে বিচার বিভাগ প্রসঙ্গে একঝাঁক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ব্যাপ্তি ও বিবিধতাই ভারতকে অনন্য করে তুলেছে। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হল, আমাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় চললেও বিচারব্যবস্থা এককেন্দ্রিক । সেই কারণে গোটা দেশ থেকেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো যায়। আপিল আদালত ও সাংবিধানিক আদালত— উভয় ভূমিকাই পালন করে সুপ্রিম কোর্ট। একদিকে সাধারণ নাগরিকদের দায়ের করা মামলা, অন্যদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে তৈরি হওয়া সাংবিধানিক প্রশ্ন। সিদ্ধান্ত গ্রহণে উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য দরকার। দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি এবিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন।
সুপ্রিম কোর্টেরও অনেক রায় নিয়েও শাসক ও বিরোধী শিবির ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে। অনেক সময় ব্যক্তি বিচারপতিকেও নিশানা করা হচ্ছে। বাদ থাকছে না সমাজমাধ্যম। সেখানে বিচারপতিদের বেলাগাম সমালোচনায় রাশ টানার কথা আলোচনায় এসেছে একাধিকবার।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিচারে বাধা দিলে বা আদালতের রায় মানতে অস্বীকার করলে তা অবমাননা বলে ধরা যেতে পারে। কিন্তু রায়ের বা বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করলে বিচারপতিরা অবমাননার ধারায় রক্ষাকবচ পাবেন না। চন্দ্রচূড় বলেন, বিচারপতিদেরও তাঁদের কাজের মধ্য দিয়ে পদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।