‘রসগোল্লা দিবস’কে এবার ভিন্নমাত্রা দিচ্ছে ভাইফোঁটা, রসাস্বাদন করাতে প্রস্তুত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রসগোল্লা খান না এমন বাঙালি নেই। ডায়াবেটিস হলে আলাদা কথা। কিন্তু তাহলেও বাড়িতে লুকিয়ে চুরিয়ে এক আধটা রসগোল্লা হাপিস করে দেওয়া চলেই। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কিংবা ইলিশ-চিংড়ি অথবা ঘটি-বাঙাল, নানা ইস্যুতে বাঙালি মাঝেমধ্যে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায়। তবে বাঙালি এক জায়গায় এসে একত্র হয় এবং রসসিক্ত হয়ে পড়ে, সেটি হল এই রসগোল্লা। আর তাই ইংরেজির অভিধানেও ঢুকে গেছে রসগোল্লা। টিনে ভরে বিদেশ যাত্রা বহুকাল আগে থেকে। রসগোল্লাপ্রেমী বাঙালির নস্টালজিয়া ও রসগোল্লা প্রেমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৪ নভেম্বর রসগোল্লা দিবস। ২০১৭ সালে এই দিনেই ওড়িশাকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই তকমা পেয়েছিল বাংলার রসগোল্লা। প্রতি বছরই রসগোল্লা দিবসকে আলাদা করে উদযাপন করেন বাংলার প্রখ্যাত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।
আজ আবার ভাইফোঁটা। অনেকেই প্রতিপদে ভাইফোঁটার রীতি পালন করেন। আগামী কাল যাঁরা এই উৎসবে শামিল হবেন, তাঁরা আজই মূলত বাজারদোকান সেরে ফেলবেন। তাতে মিষ্টি ‘মাস্ট’। তাই আজ দোকানে দোকানে ভিড় থাকাই স্বাভাবিক। সেসব সামলে আলাদা করে রসগোল্লা দিবস পালন করা কঠিন। তাই ভাইফোঁটার সঙ্গে রসগোল্লা দিবসকে মেলাতে হরেক স্বাদের রসগোল্লা দিয়েই দোকান সাজাতে চান মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন ‘মিষ্টি উদ্যোগ’ প্রতি বছর বাগবাজারে রসগোল্লা উৎসব করে ১৪ নভেম্বর। সংগঠনের সভাপতি তথা কে সি দাশের কর্ণধার ধীমান দাশ জানিয়েছেন, এবার আলাদা করে সেই উৎসব হচ্ছে না। তবে সংগঠনের সদস্যরা যাতে রসগোল্লা বিক্রিতে জোর দেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। কে সি দাশেও থাকবে নানারকমের রসগোল্লা।
অন্যদিকে, মিষ্টি উদ্যোগের সম্পাদক তথা মিঠাই-এর কর্ণধার নীলাঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, রসগোল্লা দিবসে বিভিন্ন পোস্টারের মাধ্যমে আলাদা করে দোকান সাজাবেন তাঁরা। সাধারণ রসগোল্লার সঙ্গে থাকবে নতুন গুড়ের রসগোল্লাও। নীলাঞ্জনবাবুর কথায়, সদ্য খেজুর গুড় উঠতে শুরু করেছে। সকলে পোল্লায় আকারের নতুন গুড়ের রসগোল্লা চাইছেন। কিন্তু গুড়ের জোগানে টান থাকায় আপাতত তাঁদের ছোট রসগোল্লাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
চন্দননগরের সূর্য মোদকে চিরন্তন মিষ্টি হিসেবে থাকছে ৪০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত পিসের জলভরা। তবে রসগোল্লাতেও বিশেষ মাত্রা যোগ হবে এখানে। কর্ণধার শৈবাল মোদকের কথায়, আমরা গ্রিন ম্যাঙ্গো, রোজ, অরেঞ্জ, কোকো, জাফরানের স্বাদ-গন্ধের রসগোল্লা রাখছি। সঙ্গে সাদা তো আছেই।