‘দণ্ড সংহিতা’ বিল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নোট বিরোধী সাংসদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইন-শৃঙ্খলার ‘খোলনলচে বদলে দেওয়া’ তিনটি বিল নিয়ে বিজেপি শিবিরের তাড়াহুড়ো দেখে আপত্তি তুলল বিরোধী শিবির। বিরোধীদের হেনস্তা করতেই আইপিসি এবং সিআরপিসির নতুন আইন আনতে চায় মোদী সরকার। এমনই অভিযোগে সরব হয়ে স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে ৮৫ পাতার ‘ডিসেন্ট নোট’ পাঠালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কোনও মহলের মতামত না নিয়ে সংসদীয় কমিটি আসলে বুলডোজ করতে চাইছে বলে অভিযোগ ডেরেকের। সূত্রের খবর, ৮৫ পাতার ওই নোটে ডেরেক প্রশ্ন তুলেছেন, কোনও বিল তথা আইনের নাম ইংরেজিতে রাখার কথা সংবিধানের ৩৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। সেখানে কেন নতুন বিলের নামে হিন্দিতে রাখা হবে? হিন্দির পাশাপাশি উল্লেখিত তিন বিলের নাম ইংরেজিতেও রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, এত গুরুত্বপূর্ণ বিলের সংশোধনের ক্ষেত্রে কেন কেন্দ্র তথা স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি তাড়াহুড়ো করছে? তবে কি চব্বিশের ভোটের আগে তা কার্যকর করে করে বিরোধীদের হেনস্তা করাই লক্ষ্য? ডেরেকের অভিযোগ, বিলের কিছু অংশ এমন রয়েছে, যেখানে অভিযুক্তকে অনেক বেশি দিন হেফাজতে নেওয়া যেতে পারে। যার উদ্দেশ্যই স্রেফ বিরোধীদের হেনস্তা করা। উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে আগেই ডিসেন্ট নোট জমা দিয়েছেন কমিটির অন্যতম সদস্য দিগ্বিজয় সিং, অধীররঞ্জন চৌধুরী। এবার দিলেন ডেরেক।
বাদল অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে আচমকাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ফৌজদারি দণ্ডবিধির বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং সাক্ষ্য আইনের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম চালু করার জন্য তিনটি বিল বেশ করেন। বিলগুলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন বিজেপি শিবির চাইছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে, এ বছরের শেষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই তিনটি বিল পাশ করিয়ে নিতে।