বদলাচ্ছে আইন, এক বছর চাকরি করলেই মিলতে পারে গ্র্যাচুইটি
পাঁচ বছর আর নয়। এক বছরেই গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকারী হতে পারেন চাকরিজীবীরা। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মোদি সরকারকে এমনই প্রস্তাব দিল শ্রমমন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি কমিটির বৈঠকে জমা দেওয়া ওই ‘কোড অব সোশ্যাল সিকিউরিটি ২০১৯’ রিপোর্টের ভিত্তিতে পর্যালোচনা শুরু করেছে মন্ত্রক। অর্থ এবং কর্মিবর্গ মন্ত্রকের কাছে এব্যাপারে অভিমত চাওয়া হয়েছে। সেইমতো আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ছাঁটাই এবং বেতন সংকোচনের জেরে সঙ্কটে পড়েছেন চাকরিজীবীরা। অনিশ্চিত কাজের বাজারে এই সুপারিশ তাঁদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একটানা ৫ বছর কর্মরত থাকার পরই কর্মীরা গ্র্যাচুইটির অধিকারী হন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ১৫ দিনের বেতন এবং একজন কর্মী যত বছর কর্মরত, তার গুণিতক হারে গ্র্যাচুইটির হিসেব করা হয়। তবে সরকারি সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, এক বছর না হলেও গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্যতার সময়সীমা কমিয়ে দুই থেকে তিন বছর করা হতে পারে। ৩১ জুলাই পেশ করা সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘকাল পাঁচ বছরের বিধি কার্যকর থাকার ফলে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মীবিরোধী মনোভাব এবং সিদ্ধান্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। অর্থাৎ কর্মজীবনের পাঁচ বছর সমাপ্ত হওয়ার আগেই ছাঁটাই করা হয়েছে। যাতে গ্র্যাচুইটি দিতে না হয়। এছাড়া এখন সরকারি-বেসরকারি সেক্টরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে। পাশাপাশি একই অফিসে দীর্ঘকাল ধরে কর্মরত থাকার আগ্রহ কমছে। তাই স্ট্যান্ডিং কমিটির মতে, নতুন প্রজন্মের জন্য গ্র্যাচুইটির নিয়ম বদলে এক বছরের সময়সীমাই ধার্য করা উচিত। সেই সঙ্গে একটি সংস্থার সব কর্মীকেই গ্র্যাচুইটির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি।