ওয়াংখেড়েতে রচিত ইতিহাস! শচীনকে সাক্ষী রেখেই শতরানের রেকর্ড কোহলির
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এর চেয়ে ভালো উপলক্ষ কমই হতে পারত। শচীন তেন্ডুলকরের মাঠে, তাঁরই সামনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্যক্তিগত ৫০তম শতরান। যে শতরান বিরাট কোহলিকে তুলে দিয়েছে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি শতরানের একক রাজত্বে।
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলার পথে এই কীর্তি গড়েন কোহলি। বিশ্ব রেকর্ড গড়ার মুহূর্তটি আসে ম্যাচের ৪২তম ওভারে লকি ফার্গুসনের করা চতুর্থ বলে। ডাবলস নিয়ে একশো পূর্ণ হতেই শূন্যে লাফ দেন কোহলি। ব্যাটটা রেখে প্রথমে গ্লাভস এরপর হেলমেট খুলে মাথা নুইয়ে সম্মান জানান ভিআইপি বক্সে থাকা টেন্ডুলকারের দিকে। এ সময় গ্যালারিতে থাকা কোহলির স্ত্রী আনুশকা শর্মা স্বামীর জন্য উড়ন্ত চুমু ছুড়ে দেন। ওয়াংখেড়ের ভরা গ্যালারি উল্লাস-উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল কোহলির রেকর্ড গড়া শতকের মাহাত্ম্য।
ওয়াংখেড়ের মাঠে তখন শব্দব্রহ্ম। “কোহলিইইইই, কোহলিইইইই” চিৎকার। এক সময় এই মাঠেই উঠত “শচীন, শচীন” ধ্বনি। বুধবার তিনি মাঠে বসেই শুনলেন চিৎকার পাল্টেছে। আর যাঁর জন্য চিৎকার, সেই বিরাট শতরান করার পর উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিলেন সচিন। মাস্টার ব্লাস্টার আপ্লুত তাঁর ছাত্রের কীর্তিতে।
বিরাট এক দিনের ক্রিকেটে ৫০তম শতরানটি করে প্রথমেই হেলমেট, গ্লাভস খুলে দু’হাত তুলে সচিনকে প্রণাম জানালেন। বিরাট এর আগেও সচিনকে প্রণাম করেছিলেন। সে কথা সচিন নিজেই জানিয়েছেন। সমাজমাধ্যমে সচিন লেখেন, “ভারতের সাজঘরে তোমার সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয়েছিল, সতীর্থেরা তোমাকে বলেছিল আমাকে প্রণাম করতে। এটাই নাকি ভারতীয় দলের সজঘরের নিয়ম। তুমি সেই ইয়ার্কি না বুঝে আমাকে প্রণাম করতে গিয়েছিলে। আমি হাসি থামাতে পারিনি। আজ তুমি আমার মন ছুঁয়ে নিলে। তোমার প্রতিভা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সেই বাচ্চা ছেলেটা আজ বিরাট হয়ে গিয়েছে। আমি প্রচণ্ড খুশি। আমি সব থেকে খুশি এক জন ভারতীয় আমার এই রেকর্ড ভেঙেছে। আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে করার কৃতিত্বটাই আলাদা। আর আমার ঘরের মাঠে করাটা সত্যিই কেকের উপর রাখা চেরির মতো।”