আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে বিশেষ স্প্রে বাজারে আনল জনসন অ্যান্ড জনসন
করোনাভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মানসিক অবসাদ। বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও। মার্কিন মুলুকে সংখ্যাটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে জনসন অ্যান্ড জনসন বাজারে নিয়ে এল অবসাদ দমনের স্প্রে। প্রথমবার অবসাদ দমনের স্প্রে হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির একটি নাকে দেওয়ার স্প্রে।
খাদ্য এবং ওষুধ বিষয়ক প্রশাসনিক বিভাগ এই বিশেষ স্প্রেকে ছাড়পত্র দিয়েছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের আমেরিকার নিউরোসায়েন্সের মেডিকেল সংক্রান্ত বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল ক্রেমার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ থেকে ১২ শতাংশ মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। অবসাদে ভোগেন তাঁরা। এই মানুষগুলির জন্য এই স্প্রে জীবনদায়ী ওষুধের থেকে কম নয়। এই স্প্রে অবসাদগ্রস্ত মানুষদের আত্মহত্যার প্রবণতাকে দূর করবে।’
২০১৯ সালের মার্চে এই স্প্রে মানুষের উপর প্রয়োগের ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রায় ৬ হাজার মানুষের চিকিৎসার কাজে লেগেছে। বলাই বাহুল্য ইতিবাচক সাড়াও মেলে। আর এবার স্প্রাভাটো নামের স্প্রে বাজারে আসার সবুজ সংকেতও পেয়েছে। মিশেল ক্রেমারের দাবি, এর আগেও অবসাদ দমনের ওষুধ তৈরী হয়েছে। তবে তার ফল পেতে অনেকদিন সময় লাগতো। কিন্তু স্প্রাভাটো অত্যন্ত দ্রুত কাজ করে। এই স্প্রে ব্যবহার করে চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, আত্মহত্যার প্রবণতা যাঁদের মধ্যে ছিল, তাঁদের চিন্তাভাবনা দ্রুত বদলে গিয়েছে।
আমেরিকার মনোবিদদের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী থাকতে থাকতে কিংবা কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীন অনেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন। মহামারীর আগে থেকেই আমেরিকায় অবসাদে ভোগা রোগীর সংখ্যাটা ছিল উদ্বেগজনক। কোভিড পরিস্থিতিতে তা আরও বেড়েছে। এই সময় জনসন অ্যান্ড জনসনের এমন আবিষ্কারে উপকৃত হবেন অনেকে। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা।