ধর্মতলায় সমাবেশ করতে জলের মতো টাকা খরচ করছে বিজেপি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী বুধবার ধর্মতলায় সভা করতে চায় বিজেপি। দলের ঘোষণা মতো ওই দিন কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পরিবারের এক লাখ সদস্যকে হাজির করা হবে ধর্মতলায়। সভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিরোধী দল থেকে শাসক হয়ে ওঠার পরে একটি বছর ব্রিগেডে ওই সমাবেশ হওয়া ছাড়া ধর্মতলার এই জমিই বরাবরের পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রিয় ও পছন্দের জায়গায় বিজেপি মঞ্চ বাঁধতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সভার অনুমতি নিয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কলকাতা হাই কোর্টে শুক্রবার শুরুতেই বিজেপির এই সভা সংক্রান্ত মামলা শুনে রায়দান করতে পারে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
গেরুয়া শিবিরের প্রস্তাবিত সেই কর্মসূচির ভাগ্য এখনও হাইকোর্টে ঝুলে থাকলেও সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, ২৯ তারিখের সভায় লোক আনতে মোট ৮টি ট্রেন দিচ্ছে মোদী সরকার। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ এবং মেদিনীপুর থেকে আসবে দু’টি করে রেলগাড়ি। একটি করে ট্রেন বরাদ্দ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোল, নদীয়ার জন্য। সেগুলির ভাড়া বাবদই গলে যাচ্ছে প্রায় কোটি টাকা। সভাস্থল ভরাতে শুধু তাতে ভরসা রাখছে না গেরুয়া পার্টি। কারণ, ধর্মতলা থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত কালো মাথার ভিড় তৃণমূলের শহিদ দিবসের চেনা ছবি।
২৯ নভেম্বর সেই ছবিকে টেক্কা দিতে কর্মীদের থাকা-খাওয়া, আসা-যাওয়ার রীতিমতো ‘প্যাকেজ’ অফার করছে তারা। কলকাতার আশপাশের জেলাগুলি থেকে পদ্ম সেনাদের আনতে ভাড়া করা হচ্ছে কয়েকশো বাস ও গাড়ি। দূরবর্তী জেলার কর্মী-সমর্থকদের জন্য দু’দিন আগে থেকে ‘বুক’ থাকবে একাধিক হোটেল, ধর্মশালা। সভার দিনে থাকছে এলাহি খানাপিনার আয়োজন। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে পেল্লাই মঞ্চ, বাহারি সাজসজ্জা, মোড়ে মোড়ে জায়ান্ট স্ক্রিন, বিদেশি সাউন্ড সিস্টেমের জন্যও মোটা টাকা ধরা হয়েছে। তার উপর রয়েছে সভার অনুমতি আদায়ে বড় অঙ্কের আইনি খরচ।