মার্চেই লোকসভা ভোট? তুঙ্গে জল্পনা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ইভিএম সংক্রান্ত প্রচারপর্ব শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তিন মাস। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই তুঙ্গে জল্পনা। তবে কি এগিয়ে আসছে নির্বাচন? লোকসভা ভোট কি মার্চে? ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের আগে যা যা আনুষঙ্গিক কাজ সেরে ফেলা দরকার, তার প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে।
ইভিএম কী, কী কাজ করে, ভোট কীভাবে দিতে হয়; ভোটারদের এগুলো শেখাতে হয়। সচেতনতা দূর করতেই এই পদক্ষেপ। বিভিন্ন বিধানসভায় গিয়ে ‘মক পোল’ করেও দেখাতে হয় আধিকারিকদের। ভোট ঘোষণার তিন মাস আগে শুরু করতে হয় এই কাজ। নির্দেশিকায় এই কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। তিন মাসের মধ্যে প্রচার ও সচেতনামূলক কর্মসূচি শেষ করতে হবে। এখানে প্রশ্ন উঠছে, এত তাড়াহুড়ো কেন? ভোট কি এগিয়ে আসছে?
ক’দিন আগেই সব জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। খবর মিলেছে, ফেব্রুয়ারিতেই হয়ত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হবে। ভোটার তালিকার কাজ নিয়ে দিল্লি থেকে চাপ আসছে, আধিকারিকদের মধ্যে জল্পনা আরও বাড়ছে। প্রশাসনিক স্তরে ভোটের কাজকর্ম দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি থেকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের অফিসের সঙ্গে মিটিং হচ্ছে। হয়ত কয়েকদিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসবেন।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোট হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসে। সাত দফায় ভোট গ্রহণ চলেছিল। এবারও কি তেমন নির্ঘণ্ট থাকবে? ভোট এগিয়ে এলে, স্কুল এবং বোর্ডের পরীক্ষাসূচিতে প্রভাব পড়বে। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল নিয়েও চর্চা চলছে। বিজেপির ফলাফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে নির্বাচনী নির্ঘণ্টের ভাগ্য। ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধন হবে, সেটিও ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে। বিজেপি দেখে নিতে চাইবে, আমজনতার মধ্যে রামমন্দিরের প্রভাব কতটা, তারপরই দিনক্ষণ ঘোষণা।