কাশীপুরের রাসবাটির ৩০০ বছরের প্রাচীন পুজোয় রাসমঞ্চে আসেন স্বয়ং গোপীনাথ
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কাশীপুরের রাসবাটি। ইতিহাস প্রসিদ্ধ ভবনটির চারদিকজুড়ে ক্ষতচিহ্ন। দালানের থাম থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের কড়িবরগায় উইয়ের ঢিপি। দোতলার ওঠার কাঠের সিঁড়ি নড়বড় করছে। থামের চারদিক ঘিরে পায়রার বাসা। নাটমঞ্চের ছাদ ভেঙে পড়ছে। রাসমঞ্চের অবস্থাও তথৈবচ। রাসের সময় রাসবাটিতে ভিড় উপচে পড়ে। রাসবাটির পুজো ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন।
লোকমুখে রাসবাড়ি নাম হলেও খাতায় কলমে রতনবাবু রোডের এই বাড়িটির নাম ‘গোপীনাথ জিউ ঠাকুরের মন্দির’। গোপীনাথ স্বয়ং পুজো নিতে তিনদিন রাসমঞ্চে অধিষ্ঠান করেন। এই উপলক্ষ্যে রাসমঞ্চকে সাজানো হয়। ছড়ানো হয় আতর ও গোলাপ জল। পুষ্পবৃষ্টি হয়। বাতাসা কদমা লুট দেওয়ার রীতি রয়েছে।
গত তিনবছর রাস উপলক্ষ্যে শ্রীকৃষ্ণের জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে মডেল প্রদশর্নী বন্ধ ছিল। সেই প্রদশর্নী ফের চালু হয়েছে। এবার রামায়ণ নিয়ে প্রদশর্নী হচ্ছে। তা দেখতে রাসবাটিতে ভিড় উপচে পড়ে। সোমবার থেকে একসপ্তাহ ধরে নাটমঞ্চে সন্ধ্যায় বসছে পালা কীর্তনের আসর। মেলায় পসরা নিয়ে বসেছেন শতাধিক দোকানদার।
স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য, উত্তর কলকাতার উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য হল এই প্রাচীন রাসবাটি। এটির সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এই বাড়ি ধ্বংশ হয়ে গেলে হারিয়ে যাবে বাংলার ইতিহাসের একটি অধ্যায়।