দেশে বেকারত্ব যখন বাড়ছে তখন কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে ব্যাঙ্কিং সেক্টর
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সবথেকে বড় দুই অভিযোগই হল, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সম্ভবত নরেন্দ্র মোদীকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টর।
গত দু’দশক নিয়োগের প্রথম সারিতে থাকা তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রই আজ ব্যাকফুটে। এবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা পিছনে ফেলছে তথ্য-প্রযুক্তিকে। অর্থমন্ত্রক ও নীতি আয়োগকে এই তথ্য জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কই। করোনা এবং বেকারত্বের অভিশাপ ঝেড়ে কোনও সেক্টরে নিয়োগ কত বাড়ছে, সেই বার্তা প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। তৈরি হচ্ছে তালিকা। নতুন ইপিএফ অ্যাকাউন্ট কত চালু হল, তার ভিত্তিতে যেমন তালিকা তৈরি করে শ্রমমন্ত্রক। সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হলে একটি করে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং ইএসআই অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যায়। কিন্তু সর্বদা চুক্তির চাকরিতে ওই দু’টি সুবিধা পাওয়া যায় না। তাই সামগ্রিক হিসেব সরকারের কাছে আসে না। গত অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার নিয়োগ হয়েছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে। ব্যাঙ্কিংয়ে শেষবার প্রায় একই পরিমাণ ব্যাঙ্কিং চাকরি হয়েছিল ২০১১ সালে—১ লক্ষ ২৫ হাজার। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্রমেই ব্যাঙ্কিং সেক্টরে চাকরির সংখ্যা কমেছে। ২০২২ সাল থেকে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। যদিও বেশটাই বেসরকারি ব্যাঙ্কে। চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক গড়ে প্রতিদিন ৩৫০ জন করে নিয়োগ করেছে। হিসেব বলছে, এই সেক্টরে গত দু’বছরের বৃদ্ধির জেরে এই মুহূর্তে দেশে ব্যাঙ্ককর্মী ১৭ লক্ষাধিক। সাধারণ ব্যাঙ্কিং কর্মী ও অফিসার বাদ দিলে দু’টি নতুন পদে কর্মী নিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে—রিলেশনশিপ ম্যানেজার এবং নেটওয়ার্ক স্টাফ।
২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে কর্মী-অফিসার নিয়োগের সংখ্যা রেকর্ড গড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আর উল্টোদিকে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে অ্যাপ্রেন্টিস তথা ট্রেনি ম্যানেজমেন্ট অ্যানালিস্ট জাতীয় পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। সেটাও যথেষ্ট কম। ২০২২ সালের মে মাসে দেশজুড়ে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মীর চাহিদা ছিল ২ লক্ষ ২৮ হাজার। সেখানে চলতি বছরের মে মাসে সংখ্যাটা নেমে গিয়েছে মাত্র ৭৬ হাজারে। যাদের নিয়োগ করা হচ্ছে, তাদের চাকরি পাকা করার জন্য সময়সীমা রাখা হচ্ছে এক থেকে দু’বছর। অথচ, কাজ করানো হচ্ছে স্থায়ী কর্মীদের মতোই।