শাহ, নাড্ডারা যতই ৩৫ বলুন, বঙ্গ থেকে ২৫টি আসন পাওয়াও কষ্টকর, মত BJP সাংসদের
লোকসভার আগে যাকে সেমিফাইনাল বলে দেখছেন অনেকে। রবিবারই প্রকাশিত হয়েছে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তার মধ্যে তিনটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী বছরের শুরুর দিকে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও মিজোরামের বিধানসভা ভোট হয়ে গেল। লোকসভার আগে যাকে সেমিফাইনাল বলে দেখছেন অনেকে। রবিবারই প্রকাশিত হয়েছে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তার মধ্যে তিনটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচনের ফল থেকে অনেকেই দেশের আগামী রাজনীতির ইঙ্গিতগুলোও শনাক্ত করতে চাইছেন।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। কিন্তু সেখানে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, তিন রাজ্যে জিতেই সংসদ ভবন চত্বরে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি কত আসন পেতে পারে, তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা তো বটেই, অন্যান্য রাজ্যের দলীয় সাংসদদের আলোচনাতেও এদিন ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলার প্রসঙ্গ।
আর সেই প্রেক্ষিতেই নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি সাংসদ তথা কয়েকজন হেভিয়েট নেতার সাফ বক্তব্য, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির শেষ কয়েক মাসে পশ্চিমবঙ্গে দল যতই সংগঠন শক্তিশালী করার চেষ্টা করুক না কেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের লক্ষ্যমাত্রা মেনে ২০২৪ সালের ভোটে বাংলায় ৩৫টি আসনে জয়লাভ করা কার্যত অসম্ভব।
বিজেপির ওই নেতাদের মধ্যেই একজন অতীতে বেশ কয়েক বছর বাংলার সংগঠন সামলেছেন। বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকে হাতের তালুর মতো চেনেন। তাঁর কথায়, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা রেখে এগনো যেতে পারে। এর থেকেই প্রমাণিত যে, শাহ মুখে যাই বলুন না কেন, বাংলায় তা পূরণ করা সম্ভব হবে না বলে আগে থেকেই ধরে নিচ্ছে দলের একাংশ। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি সাংসদ সংবাদ মাধ্যমকে নাকি বলেন যে, মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে এবারেও সম্ভবত তাদের জয়ের কোনও আশা নেই। উত্তরবঙ্গের বাকি লোকসভা আসনগুলিতে অবশ্য ফল ভালো হবে।