ভুয়ো জব কার্ডের পরিসংখ্যানে অস্বস্তির জেরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টি মোদীর মন্ত্রীর?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্র লড়াই চলছেই, এই আবহে সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি রাজ্য ধরে ধরে ভুয়ো জব কার্ড বাতিলের তথ্য দেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জব কার্ড বাতিল নিয়ে শীর্ষে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলো। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ডিগবাজি খেলেন মোদীর মন্ত্রী। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসমের মতো ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের ভুয়ো জব কার্ডের তথ্য প্রকাশ হতেই প্রবল অস্বস্তিতে মোদী। বাংলায় ভুয়ো কার্ডের কথা বলে টাকা আটকে রাখা হয়, কিন্তু ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে তা হয় না কেন? সিবিআই, ইডির তদন্ত হচ্ছে না কেন?
সাংসদ দীপক অধিকারীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি সংসদে জানিয়েছিলেন, গত দু’ বছরে মোদী-শাহর গুজরাতে ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড ধরা পড়েছে ৬,২০৮। উত্তরপ্রদেশে ৩,৬৪,৪০১। অসমে ১১,১৪৪, মধ্যপ্রদেশে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৮। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতেই বিপাকে পড়েন মন্ত্রী। বুধবার ভুয়ো জব কার্ড নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই বয়ান বদল করেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। নিজের পেশ করা রিপোর্টই দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ! আধিকারিকদের ডাক পড়ে। নির্দেশ যায় তথ্য পাল্টাতে হবে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংও নিজে এসব তথ্য পরিসংখ্যানের কথা এড়িয়ে যান। লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভুয়ো জব কার্ডের জন্য কেন্দ্রীয় দল যাবে না কেন? ইডি, সিবিআই তদন্ত হবে না কেন?
অন্যদিকে, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার জানতে চান বাংলার বকেয়া, সুদ-সহ কবে দেওয়া হবে? কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৮ হাজার ৪১৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা বাংলার বকেয়া রয়েছে।