এবার শীতে ইতিহাস, ঐতিহ্যের গন্ধ পেতে ঘুরে আসতে পারেন কালনা থেকে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লালজি মন্দির, গোপাল জিউর মন্দির, প্রতাপেশ্বর মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দির, চার্চ ছাড়াও রয়েছে বিশ্বের একমাত্র বৃত্তাকারে থাকা ১০৮ শিব মন্দির। পুরোনো শহরটার আনাচ কানাচে ছড়ানো নানা দ্রষ্টব্য। বেশিরভাগই বর্ধমান রাজ পরিবারের আমলে তৈরি। শহরের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের। এ ছাড়াও বহু বিদগ্ধ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত এ শহর – কালনা।
৭৪ ও ৩৪টি শিবমন্দির রয়েছে দু’টি বৃত্তাকারে। ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে মহারাজ তেজচন্দ্র বাহাদুরের আমলে নির্মিত। সাদা ও কালো পাথরের শিবলিঙ্গ উত্তর দিক নিদিষ্ট করে স্থাপন করা হয়েছে। সুউচ্চ ২৫ চূড়া লালজি মন্দির ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। মন্দিরের সম্মুখভাগে রয়েছে নাটমন্দির ও পর্বতাকৃতি মন্দির, যেটি গিরি গোবর্ধন পর্বত নামে পরিচিত। পর্বতের উপরে নানা পশুপাখির মূর্তি স্থাপন করা। মন্দির গাত্রে পোড়া মাটির অপূর্ব নিদর্শন রয়েছে। পাশেই রয়েছে প্রতাপেশ্বর মন্দির। ঊনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত এই মন্দিরে রয়েছে বৃহৎ একটি শিবলিঙ্গ। এছাড়া রয়েছে, পার্শ্ববর্তী আরও একটি সুউচ্চ পঁচিশ চূড়া কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির রাসমঞ্চ রূপেশ্বর মন্দির ও পঞ্চরত্ন মন্দির। এই সবই একশো মিটারের মধ্যে। স্থাপত্যগুলি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের অধীন। এছাড়াও প্রাচীন গোপালবাড়ি মন্দির সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, বাসুদেব মন্দির, সাধক ভবাপাগলা, সাধক ভগবানদাস বাবাজির পাতাল গঙ্গা, সাধক কমলাকান্তের বাস্তুভিটা মহাপ্রভু মন্দির শ্যামসুন্দর মন্দির সহ আরও নানা মন্দির প্রাচীন স্থাপত্য। এছাড়াও দাঁতনকাঠিতলা মসজিদ, হাবসি মসজিদ। জাপট মিশন সংলগ্ন খ্রিস্টিয় প্রাচীন উপাসনাস্থল চার্চ।ব্যান্ডেল-কাটোয়া রেল রুটে অম্বিকা কালনা স্টেশনে নেমে অটো বা টোটোয় পাঁচ মিনিটের পথ। পায়ে হেঁটে মিনিট পনেরো। পৌছে যাওয়া যাবে স্থাপত্য স্থলে।
শীত পড়তেই পর্যটকদের জন্য সেজে উঠছে কালনা। হোটেল লজগুলিও তৈরি পর্যটক ধরার জন্য। শীতকালীন উৎসব বইমেলা, পিঠেপুলি উৎসব ও পুরশ্রী মঞ্চে ম্যাজিক শো হচ্ছে ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসজুড়ে। বলা যায়, করোনার সময় পেরিয়ে এবছর নতুন করে শীতকালীন উৎসব উদ্দীপনায় মেতেছে কালনা শহর। ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসা শুরু করেছে। ভিড় বাড়ছে মন্দির ও প্রাচীন স্থাপত্যগুলি দেখতে।