প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি? গরমিল খোদ মোদী সরকারের তথ্যে!

জনধন যোজনাতেই রয়েছে পাড়ারপ্রমাণ দুর্নীতি। খোদ মোদী সরকারের তথ্যেই বিরাট গরমিলের ইঙ্গিত মিলেছে।

December 10, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকার বারবার ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা’র সাফল্যক কেন্দ্র করে গলা ফাটায়। মোদী দাবি করেন, এই প্রকল্পই নাকি দেশের গরিব মানুষদের ব্যাঙ্কে পৌঁছে দিয়েছে। কেন্দ্রের অন্যতম সফল প্রকল্প এটি, এমনটাই দাবি বিজেপি সরকারের। কিন্তু জনধন যোজনাতেই রয়েছে পাড়ারপ্রমাণ দুর্নীতি। খোদ মোদী সরকারের তথ্যেই বিরাট গরমিলের ইঙ্গিত মিলেছে।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জওহর সরকারের প্রশ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অধীনে খোলা অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কতগুলি অ্যাকাউন্ট নিস্ক্রিয়? সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে কী পরিমাণ টাকা ছিল? প্রশ্নের জবাবে মোদী মন্ত্রিসভার অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদ জানিয়েছেন, জনধন যোজনার আওতায় খোলা মোট অ্যাকাউন্টের ১৮-২০ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় ৫০ কোটি ৮১ লক্ষ জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট এখন নিস্ক্রিয়। অ্যাকাউন্টগুলিতে দীর্ঘদিন কোনওরকম লেনদেন হয়নি, এমনকি অ্যাকাউন্টগুলির মালিকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্র জানিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে। জনধন অ্যাকাউন্টে মূলত কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা জমা পড়ে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, নিখোঁজদের অ্যাকাউন্টে কী করে কেন্দ্রের টাকা আসছে?

তৃণমূল সাংসদের দাবি, জনধন যোজনা ভুলে ভরা। এতে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে। প্রমাণ হিসাবে তিনি খোদ অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যই তুলে ধরেছেন। জওহর সরকার এক্স হ্যান্ডেলে লিখছেন, মোদী সরকারের মন্ত্রীরা যখন জনধন যোজনার সাফল্য নিয়ে বুক বাজাচ্ছেন, তখন জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে সরকারি প্রকল্পের বিরাট অঙ্কের টাকা জমা পড়ে আছে। যার কোনও দাবিদার নেই। প্রশ্ন উঠছে, নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলি কাদের? কেন তাঁদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় রাখা গেল না?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen