রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কী দাওয়াই আনছে রাজ্য পুলিশ?

December 10, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে প্রযুক্তি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধ। এবার আরও স্মার্ট হচ্ছে পুলিশ। একের পর এক নিত্যনতুন প্রযুক্তি আসছে পুলিশের হাতে। বিক্ষোভরত উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এবং দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য আসছে নয়া প্রযুক্তি। খুব শীঘ্রই অত্যাধুনিক ‘ড্রোন বেসড চিলি গ্রেনেড লঞ্চার’ আসতে চলেছে রাজ্য পুলিশের হাতে। দেশের মধ্যে বাংলাই প্রথম রাজ্য, যেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রথম অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করবে। ড্রোন লঞ্চারের উড়ান নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কথা হয়েছে। ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। রাজ্য পুলিশের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে ১০টি করে এই ড্রোন লঞ্চার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এবার থেকে রাজ্য পুলিশ ড্রোনের মাধ্যমে গ্রেনেড ছুড়বে। গ্রেনেড ফাটতেই তীব্র ঝাঁঝালো ধোয়ায় ছেয়ে যাবে চারিদিক, ছত্রভঙ্গ হবে উত্তেজিত জনতা। এতে মানব শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্বে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ১০টি ড্রোন লঞ্চার কিনছে রাজ্য। আন্দোলনের নামে বহুক্ষেত্রেই হিংসাশ্রয়ী হয়ে ওঠে জমায়েত। আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়, অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কখনও লাঠিচার্জ, কখনও জল কামান আবার কখনও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয় পুলিশকে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের মতে, রাজনৈতিক ফায়দার নেশায় মানুষকে প্ররোচিত করে হিংসার পথ অবলম্বনে বাধ্য করানোর পরিকল্পনা লোকসভা ভোটের আগে আগামী কয়েকমাসে আরও বাড়বে। পুলিশ যাতে গুলি চালাতে প্ররোচিত হয়, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। উদ্দেশ্য একটাই, কোনওভাবে শেল বা বুলেটের আঘাতে কারও মৃত্যু হলে, পুলিশ-প্রশাসনকে আরও বেকায়দায় ফেলা এবং রাজনৈতিক ফসল তোলা। এসব সম্ভাবনা এড়াতেই ড্রোন বেসড চিলি গ্রেনেড লঞ্চার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই খবর।

প্রসঙ্গত, উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে আজও চিরাচরিত প্রথা অবলম্বন করে রাজ্য পুলিশ, জনতার সঙ্গে ‘বডি কন্টাক্টে’ যেতে হয়। বহুক্ষেত্রেই অহেতুক নানান বিতর্ক ও অভিযোগে জড়িয়ে পড়তে হয় পুলিশ কর্মীদের। ড্রোন বেসড চিলি গ্রেনেড লঞ্চার যেকোনও জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা যাবে জনতা কোথায় ভাঙচুর করছে, আগুন লাগাচ্ছে বা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। ড্রোন লঞ্চার সেখানে পৌঁছে চিলি গ্রেনেড নিক্ষেপ করবে। লঙ্কা পোড়ানোর মতো শক্তিশালী ঝাঁঝালো ধোয়ায় ছত্রভঙ্গ হবে জনতা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#police, #Drone

আরো দেখুন