যৌনতার বাইরে নারী-পুরুষ সম্পর্ক ভাবতে পারে না সমাজ
আমাদের সমাজে ছোটবেলা থেকেই ‘বন্ধু’র বদলে মেয়ে বন্ধু-ছেলে বন্ধু মাথার মধ্যে গেঁথে দেওয়া হয়। সে জন্য ছেলেমেয়েকে পাশাপাশি হাঁটতে দেখলে বা একসঙ্গে বসে কোথাও আড্ডা মারতে দেখলে বা খেতে দেখলে – সহজেই তা হয়ে ওঠে ‘প্রেম’, আর বিবাহিত হলে ‘পরকীয়া।’
সে কথাই উঠে এলো বন্ধুত্ব নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেমেয়ের অবাধ মেলামেশা যে থাকতে পারে, ভেঙে বলতে গেলে যৌনতার বাইরেও যে একজন নারীর সঙ্গে এক জন পুরুষের সম্পর্ক থাকতে পারে ও তা নিখাদ বন্ধুত্বের, সেই জায়গাটাই এখনও সমাজ গ্রহণ করতে শেখেনি। সেখান থেকেই এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। শিশু মনকে বন্ধুত্ব না বুঝিয়ে ছেলে-মেয়ে বোঝানো হয়, তাতে নিকট আত্মীয়রা শরিক। এরাই তো বড় হয়। তখন সেই পুরোনো ধ্যানধারণা ভাঙতে পারে না।
কিন্তু কেন নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব নিয়ে সব সময়ই এই তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি?
মনোবিদদের কথায়, গোড়াতেই গলদ। এর মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর মনস্তত্ত্ব। সেটা শুধু ছেলেদের নয়, মেয়েদেরও। অনেক সময় তারা নিজেরাও মনে করে বিষম লিঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে না। এই ভাবনা একদিনে আসেনি। এ বহুদিনের প্র্যাক্টিসের ফল।
সমাজের এই বস্তাপচা চিন্তাকে ছুড়ে ফেলতে, মুক্ত মনে ছেলে-মেয়েকে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। এ কথা ভুললে চলবে না আত্মীয়তাকেও অনেক সময় ছাপিয়ে যায় বন্ধুত্ব আর তার কোনও লিঙ্গ হয় না।