বায়োমেট্রিক ছাড়া বন্ধ রান্নার গ্যাস! মোদী সরকারের ফরমানে আতঙ্কিত গ্রাহকরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বছর শেষে লঙ্কা কান্ড! হাতেগোনা মাত্র কয়েকদিন পরেই আপডেট করাতে হবে বায়োমেট্রিক। নাহলে নতুন বছর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে রান্নার গ্য়াসে ভর্তুকি। মোদী সরকারের নয়া নির্দেশিকা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি পেতে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক আপডেট। ডিলারদের সূত্রে খবর, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে এই বায়োমেট্রিক আপডেট করাতে হবে।
গ্যাস সংস্থার তরফে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, অকারণ আতঙ্কের কিছু নেই। তাঁদের দাবি, যাঁরা গ্যাসের ভর্তুকি ছেড়ে দিয়েছেন এবং যাঁদের বার্ষিক বেতন ১০ লক্ষ টাকার উপর, তাঁদের বায়োমেট্রিক করার কথা নির্দেশিকায় বলা নেই। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেবলমাত্র উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহকদের আঙুলের ছাপ বা মুখে ছবি স্ক্যান সংক্রান্ত কাজ শেষ করতে হবে। তবে ডিস্ট্রিবিউটরদের একাংশের বক্তব্য, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা সবার জন্যই প্রযোজ্য। ফলে মোদী সরকারের নয়া ফরমানে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
আবার গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, বায়োমেট্রিক করানোর নামে চাপ দিয়ে গ্যাসের পাইপ বা ওভেন ক্রয় করতে বাধ্য করছেন কিছু ডিস্ট্রিবিউটররা। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১৯০ টাকা্র মাশুল। অপরদিকে ডিস্ট্রিবিউটরদের যুক্তি কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর অন্তর গ্রাহক গ্যাস পরীক্ষা করাবেন ও পাইপ বদলাতে হবে। কিন্তু গ্রাহকরা তা না করিয়ে অনেকেই খোলা বাজার থেকে বিআইএস ছাপ ছাড়াই পাইপ কেনেন। তাই সেগুলো মজবুত হয় না তাই গ্রাহকের নিজের স্বার্থেই গ্যাস-ওভেনের পাইপ বদলে নেওয়া উচিত।
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বায়োমেট্রিকের কাজ শেষ না হলে কী হবে? এই প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি। মোদী সরকারের নির্দেশিকায় স্পষ্টকরে কিছু বলা হয় নি। ফলে গ্রাহকরা নানা আশঙ্কায় ভুগছেন। এ সংকান্ত বিষয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তারপরেও মুখে কুলুপ এঁটেছে পেট্রলিয়াম মন্ত্রক। তার উপর নিত্যদিন সকালে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরদের অফিসে লম্বা লাইন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা, যখন-তখন আধার যাচাইয়ের সার্ভারের লিঙ্ক চলে যাওয়া গ্রাহকদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, নোটবন্দির ভয়াবহ স্মৃতি ফের ফিরে আসছে নাতো!