দেশজুড়ে চলছে স্থাপত্য ও প্রত্নতত্ত্বের থ্রিডি ডকুমেন্টেশন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঐতিহ্যগত কাঠামো আধুনিক ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তৈরি হচ্ছে বাংলা সহ ভারতের সমস্ত স্থাপত্য ও প্রত্নতত্ত্বের থ্রিডি ডকুমেন্টেশন। দেশের প্রতি রাজ্যেই রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন স্থাপত্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী। এগুলো বেশিরভাগই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার(ASI) আওতাধীন। এবার ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে সেগুলোকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল মিশন অন মনুমেন্টস অ্যান্ড অ্যান্টিকুইটিস। রোজ বিভিন্ন রাজ্যের ওয়েবসাইটে তা আপলোড করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ASI সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে দেশের স্থাপত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি দেখতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল সংরক্ষণ জরুরি। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে দেশের যে কোনও রাজ্যের ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও ইতিহাস অনুসন্ধানকারীরা ঘরে বসেই এগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
কীভাবে করা হচ্ছে ডকুমেন্টেশন?
স্থাপস্থ্য ও প্রত্নতত্ত্বের ছবি আঁকার পর সেগুলো ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে থ্রিডি ছবি তোলা হচ্ছে। লাইডার পদ্ধতিতে স্ক্যানিং করে ডিজিটাল প্রতিরূপ তৈরি করা হচ্ছে। স্থাপত্যের তিনশো মিটার সীমানার রেকর্ড বা ‘ফটো গ্রামেটিক সার্ভে’ও করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে যদি কোনও অংশ ভেঙে যায়, তাহলে লাইডারের ওই প্রতিরূপ দেখেই পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে।
এই কাজ করতে কী কী পদ্ধতি বা কোন কোন মেশিন ও জিনিসপত্র ব্যবহৃত হবে তা শেখাতে সারা দেশজুড়ে চলছে এক বিশেষ কর্মশালা। ইতিমধ্যেই দেশের স্থাপত্য ও প্রত্নসামগ্রী মিলিয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ ডকুমেন্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ASI এবং NMMA-এর উদ্যোগে প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা সেখানে কীভাবূ ডকুমেন্টেশন করতে হয় শেখাচ্ছেন। ASI কলকাতা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বর কলকাতাতেও হবে এই বিশেষ কর্মশালা। যেখানে বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ১০০ প্রতিনিধি অংশ গ্রহন করবেন।