বড়দিনে ‘সুপারহিট’ দার্জিলিং, খুশি ব্যবসায়ীরা
একটি বছর শেষ হতে চলল। বছরের শেষ কটা দিন ছুটি কাটাতে চাইছেন অনেকে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একটি বছর শেষ হতে চলল। বছরের শেষ কটা দিন ছুটি কাটাতে চাইছেন অনেকে। শুক্রবার অফিস করেই রাতের ট্রেনে বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। গন্তব্য দার্জিলিং পাহাড়। কারণ, পরপর কয়েকদিন ছুটি। বড়দিনের সেই ছুটিতে জমিয়ে আনন্দ করতে হাজার হাজার পর্যটক পাহাড়মুখী। সেই সঙ্গেই প্রচুর পর্যটক এবার ডুয়ার্সে এসেছেন।
এবার দুর্গাপুজো ও দীপাবলিতে সিকিমের বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছিল পাহাড়ের পর্যটনে। সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দিল বড়দিন। এবার ‘সুপারহিট’ দার্জিলিং ও কালিম্পং। দুই পাহাড়েই পর্যটকের ঢল নেমেছে। ইংরেজি নতুন বর্ষেও তা অব্যাহত থাকবে বলেই আশা। বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম স্পটগুলি সংস্কারে তৎপর জিটিএ। সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। সকলেরই বক্তব্য, এবার কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে।
কয়েকদিন আগে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের গির্জা, দর্শনীয় স্থান, বিভিন্ন রাস্তা, হোটেল, রেস্তরাঁ, ক্যাফে আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়। সঙ্গে সান্তাক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি ও স্টার। কোথাও আবার বসেছে ব্যান্ডের আসর। কোথাও আবার চলছে লোকসঙ্গীত ও নৃত্য। বাড়তি পাওনা মনোরম আবহাওয়া। কনকনে ঠান্ডা থাকলেও ঝঞ্ঝা নেই।
এই কারণেই শৈলশহরে উপচে পড়েছে পর্যটকের ভিড়। চা বাগান ঘেরা দার্জিলিংয়ে দর্শনীয় স্থানের সংখ্যা অসংখ্য। ম্যাল, মহাকাল মন্দির, পিস প্যাগডা, চিড়িয়াখানা, টাইগারহিল, টয় ট্রেন বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পাশের জেলা কালিম্পংয়ের লাভা, লোলেগাঁও, ডেলোর ছবিটাও একই। পর্যটন ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গিয়েছে, দুই পাহাড়ে হোটেল ও লজের সংখ্যা ৮০০’র কাছাকাছি। হোমস্টের সংখ্যা হাজারের বেশি। কোথাও ঘর খালি নেই বললেই চলে। ২০ ডিসেম্বর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। আসন্ন ইংরেজির নতুন বছর পর্যন্ত তা চলবে বলেই মনে হচ্ছে।
কিন্তু এতসব কিছুর পরে একটাই কথা, কবে বরফ পড়তে পারে দার্জিলিংয়ে?
সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু, টুংলিং সহ পাহাড়ে উচ্চ অক্ষাংশে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই খবরটার জন্যই যেন মুখিয়ে আছেন পর্যটকরা। তবে অনেকের মতে, মঙ্গলবারের মধ্য়ে তুষারপাত হতে পারে। তবে মূল দার্জিলিং শহরে তুষারপাতের সম্ভাবনা সেভাবে নেই।