মোদীর লোগো ছাড়া আবাসের টাকা নয়! ফের বাংলাকে বঞ্চনার চক্রান্ত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদীর রাজনীতিকে প্রচার সর্বস্ব রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। বিগত এক দশকে ভারতবাসী বারবার মোদীর বেলাগাম আত্মপ্রচারের সাক্ষী থেকেছে। এবার সেই প্রচারের রাজনীতির গেরোয় ফের বাংলাকে বিপদে ফেলার কৌশল কষার অভিযোগ উঠছে। বলা হচ্ছে, শহরাঞ্চলে আবাস যোজনায় যে’সব বাড়ি তৈরি হবে, সেগুলোতে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-আর্বান’ লেখা লোগো লাগাতে হবে। কার্যত ফতোয়ার সুরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, শর্ত না মানলে মোদী সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ মিলবে না। প্রসঙ্গত, শহরে আবাস যোজনায় গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির প্রকল্পে রাজ্যই বেশি টাকা ব্যয় করে।
গ্রাম বাংলায় আবাস যোজনা প্রকল্পে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিলেও, অদ্যাবধি সেই খাতে এক টাকাও দেয়নি মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে বাংলার শহরাঞ্চলে বা পুর এলাকায় আবাস প্রকল্পকে কেন্দ্র করে শর্ত চাপানো হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে একে মোদীর প্রচার কৌশল হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-আর্বানের এক একটি বাড়ি তৈরির জন্য দেড় লক্ষ টাকা দেয় মোদী সরকার। রাজ্য ব্যয় করে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। উপভোক্তাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হয়। রাস্তা, নিকাশির মতো পরিকাঠামো গড়তে খরচ প্রায় ৩৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সেই খরচেরও ৫০ শতাংশ দেয় রাজ্য। বাকি ৫০ শতাংশ দেয় সংশ্লিষ্ট পুরসভা। সেক্ষেত্রে কেবল প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখা লোগো লাগানোর ফতোয়াকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলেই মনে করছে বাংলার আমলা মহল। শোনা যাচ্ছে, বাংলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এক-একটি বাড়ির জন্য কাকে কত টাকা খরচ করতে হচ্ছে, তা লোগোর সঙ্গেই দেওয়া থাকবে।
বাংলার পুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-আর্বান প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই আড়াই লক্ষের বেশি বাড়ি তৈরি হয়েছে। আরও আড়াই লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। খবর মিলছে, সম্প্রতি রাজ্যকে ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় মোদী সরকার। তাতে বাংলাকে জানাতে বলা হয়, মোদী সরকারের সব শর্ত মানা হচ্ছে কি না।