জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে পুরস্কার, বিপুল অর্থ দান করলেন মণি ভৌমিক

ছোট বেলায় গরু চরিয়ে তারপরে স্কুলে যেতেন তিনি। ৪২-৪৩ সালের মন্বন্তরের সময়ে বহুদিনই খাবার জোটে নি তাঁর

January 9, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মেদিনীপুর জেলার এক দরিদ্র স্কুল শিক্ষকের পরিবারে জন্ম নেন মণি ভৌমিক। ছোট বেলায় গরু চরিয়ে তারপরে স্কুলে যেতেন তিনি। ৪২-৪৩ সালের মন্বন্তরের সময়ে বহুদিনই খাবার জোটে নি তাঁর।

মণি ভৌমিক

প্রদীপের আলোয় পড়াশুনো করেই কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে ভর্তি হন – যেখানে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সংস্পর্শে আসেন মণি ভৌমিক। ১৯৫৯ সালে বৃত্তি পেয়ে আমেরিকার মাটিতে পা রেখেই মনে হয়েছিল তাঁর যেন পুনর্জন্ম হয়েছে। একটা লেজার রশ্মি আবিষ্কার করেও তার স্বীকৃতি পান নি, কিন্তু কয়েক বছর পরে এক্সিমার লেজার রশ্মি আবিষ্কার করেন মণি ভৌমিক।

ইউসিএলএ-তে তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার জন্য মণি ভৌমিক ইনস্টিটিউটের মোড়ক উন্মোচনের সময় পণ্ডিত

এবার এই কৃতি বাঙালি বাজ্ঞানী এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দান করলেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বোসের কর্মকাণ্ডকে সম্মান জানিয়ে।তাঁর সম্মানে প্রতিভাবান বিজ্ঞানীদের ২০২৫ সাল থেকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হবে। মেডেল দেওয়া হবে।

ডাঃ মণি এল. ভৌমিক ইউসিএলএ-তে তার ছাত্র এবং অন্যান্য অনুষদ সদস্যদের সাথে

ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিকাল অ্য়ান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের উদ্যোগে এই সম্মান প্রদর্শন করা হবে। মূলত সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানীদের পুরষ্কৃত করা হবে। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর নামেই এখানে সম্মান প্রদর্শন করা হবে। এদিকে এই পুরষ্কার প্রদানের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন ছিল। আর সেই অর্থ দিতে সম্মত হলেন বিজ্ঞানী মণি ভৌমিক। তিনি এই বিপুল অর্থ দান করছেন এই মেডেল দেওয়ার জন্য। মূলত গোটা বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান সাধনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য়, আরও উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাঁর এই প্রয়াস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen