রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ভাঙন অব্যাহত পদ্ম শিবিরে, তারকেশ্বরে শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে

August 16, 2020 | 2 min read

স্বাধীনতা দিবসের পরদিনও বাংলায় দলবদলের ধারা অব্যাহত। দলের নিচুতলাকে পোক্ত করতে নিয়ম করে কোনও না-কোনও জায়গায় যোগদান শিবির খুলছে তৃণমূল। শুক্রবারও উত্তর কলকাতায় কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে জেলা এবং ওয়ার্ড স্তরের কর্মীদের দলে টেনেছে শাসকদল। ঝাড়গ্রামে ব্যাপক ভাঙন ধরেছে বিজেপিতে। জঙ্গলমহলের তিন জেলা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও প্রায় নিয়ম করে ভাঙন ধরছে বিজেপিতে। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রায় সামনে দিয়েই ডুয়ার্সে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন বহু কর্মী। এবার দলবদল হল হুগলির তারকেশ্বরে।

অন্য দল থেকে মাঠে ময়দানে লড়ার মতো কর্মীদের সাগ্রহে দলের বরণ করতে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাদেরই। সেই মতো রবিবার সকালে হুগলির তারকেশ্বরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী। তাঁদের দলে আমন্ত্রণ জানালেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপিতে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই দলবদল।

এদিন বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে আসেন লাল্টু বাগ। এই লাল্টু বাগই লোকসভা ভোটের আগে অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর বিধানসভার আগে ফের ফিরে এলেন পুরনো ‘ঘরে’। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েকমাস পর থেকেই দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে অপদস্থ করা হচ্ছিল। এমনকী তাঁর উপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, জেলও খাটতে হয় তাঁকে। কিন্তু বিপদের সময় পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। তাই ফের তৃণমূলেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যদিও বিজেপির দাবি, দলে গুরুত্ব কমার জন্যে ফের তৃণমূলে চলে গেলেন ওই নেতা।

গত একুশে জুলাই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ওপেন কল’ দিয়েছিলেন, যাঁরা অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে চান তাঁদের স্বাগত জানানো হবে। এর পর থেকেই স্থানীয় ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল নেতারা ভিন দলের নানা স্তরের কর্মীদের দলে যোগদান করানোর উদ্যোগ বাড়িয়েছেন। বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের একাংশে ভাঙন ধরাবে বলে অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এবার উল্টো চাপ দিচ্ছে শাসকদল। লাগাতার অন্য দলের কর্মীদের দলে টেনে তৃণমূল একদিকে বার্তা দিতে চাইছে, দলবদলের স্রোত আদতে তাদের অনুকুলেই। অন্য দিকে দলের অন্দরেও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে যে তৃণমূলই পছন্দের গন্তব্য। এ ক্ষেত্রে বিশেষ বাছবিচার না-করে অন্য দলের ব্লক সভাপতি, টাউন সভাপতি, ওয়ার্ড কর্মীদের ঢালাও দলে টানছে তৃণমূল।

দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে দলে ফেরানোর দিনও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই আবেদন করেছিলেন, যাঁরা দল ছেড়ে গিয়েছে তাঁরা ফিরে আসতে চাইলে গ্রহণ করবে তৃণমূল। দলের শীর্ষ স্তর থেকে এই ধরনের বার্তা আসায় তৃণমূলের সংগঠকরা এখন সুযোগ পেলেই দলে নতুন লোক এনে দলের শীর্ষ স্তরের বাহবা পেতে চাইছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #tmc, #tarakeswar

আরো দেখুন