দেশ বিভাগে ফিরে যান

ধর্মে রাজনৈতিক দাদাগিরি বরদাস্ত নয়, কী বলছেন পুরীর শঙ্করাচার্য?

January 14, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি একেবারে বরদাস্ত নয়, রামমন্দির উদ্বোধনের প্রাক্কালে পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজের কথায় শুরু হল জোর চর্চা। গঙ্গাসাগরের মেলায় অংশ নিতে আসা শঙ্করাচার্যের মতে, ধর্মীয় ক্ষেত্রে অযাচিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আদপে দাদাগিরি। প্রধানমন্ত্রীর পদের কথা উল্লেখ করে মেলা প্রাঙ্গণে বসে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় ক্ষেত্রের উন্নয়ন করো। কিন্তু ধর্মীয় ক্ষেত্রে দাদাগিরি দেখানো ঠিক নয়। এতে রাষ্ট্রপ্রধানের অপমান হয়।’ প্রধানমন্ত্রীকে পুরীর শঙ্করাচার্যের মতে, প্রধানমন্ত্রীর উচিত, ধর্মেরকে ধর্মীয় জায়গাতেই সীমাবদ্ধ রাখা। সব কিছুতে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় নিজের কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব প্রমাণ আর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা উন্মাদের লক্ষণ। উন্মাদ, এই পরিচয় কারও দেওয়া উচিত নয়। এর আগেও অনেক রাষ্ট্রনেতা এসেছেন। যেমন প্রণব মুখোপাধ্যায়, রাধাকৃষ্ণন। এঁদের কারও মধ্যে ধর্ম নিয়ে কোনও উন্মাদনা ছিল না।’

রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের আর্জি ছিল মোদী নিজেই রামলালাকে অযোধ্যার গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করুন। লোকসভার ভোটের আগে এহেন ডাক পেতেই মোদীও খুশ। মোদীর দলও অত্যন্ত খুশি। হিন্দুত্বে ভর করে সহজ হবে ভোট বৈতরণী পেরোনো। কিন্তু এখানেই আপত্তি দেশের চার শঙ্করাচার্যের। তাঁদের মত, হিন্দু মন্দির ধ্বজাহীন হতে পারে না। ফলে অসম্পূর্ণ মন্দিরের উদ্বোধন শাস্ত্রসম্মত নয়। অ-ব্রাহ্মণকে নিয়ে গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা, তাও মানতে পারছেন না তাঁরা। চার শঙ্করাচার্যই জানিয়েছেন, তাঁরা অযোধ্যা যাচ্ছেন না। তাঁদের মানভঞ্জনে নেমে পড়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় গেরুয়া নেতারা। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগরে এসে পুরীর শঙ্করাচার্যের মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের আগুনে ঘি দিয়েছে। তাঁর মত, রামলালার মন্দিরের জন্য যে সেবায়েতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ ভগবানকে স্পর্শ করতে পারেন না। সেবায়েত ছাড়া ওখানে কারও যাওয়া উচিত নয়।

স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী মহারাজের সাফ দাবি, মূর্তি প্রতিষ্ঠা শাস্ত্রসম্মত বিধি দ্বারা করা উচিত। এখানে লোভ, ভয় ও ভাবনার জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, সংবিধানসম্মত বিধি পালন করাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু তা উপেক্ষা করে নিজের প্রচার করার চেষ্টার অর্থ, ভগবানের সঙ্গে বিদ্রোহ করা। তাঁর হুঁশিয়ারি, এসব করে ভবিষ্যতে চুরমার হওয়ার রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Ram Mandir, #Shankaracharya, #Narendra Modi

আরো দেখুন