রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বন্যপ্রাণীদের উপর নজরদারি চালাতে এবার বনদপ্তরের হাতে অত্যাধুনিক ক্যামেরা, বন্দুক

January 19, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীতে কুয়াশায় ঢেকে থাকে জঙ্গলের চারপাশ। বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে হাতিরা কোথায় লুকিয়ে থাকে তা বোঝা যায় না। কুয়াশার কারণে লোকালয়ে ইদানিং হাতির হানা বেড়েছে বলে দাবি বন দপ্তরের।

এবার এই সমস্যা মেটাতে সাহায্য নেওয়া হবে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার। ঘন কুয়াশায় লোকালয়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকা হাতি, চিতা বা বাইসনের মতো বুনোদের হদিস দেবে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা। বিশেষ কারণে যদি বুনোদের কাবু করতে ঘুমপাড়ানি গুলির ব্যবহার প্রয়োজন হয় তবে দূর থেকেও ব্যবহার করা যাবে টেলিস্কোপ লাগানো ডেনমার্কে তৈরি অত্যাধুনিক বন্দুক। এর বাইরে ড্রোন বা ট্র্যাপ ক্যামেরা তো রয়েইছে। সম্প্রতি বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি স্কোয়াডের হাতে এসেছে এমনই নানা আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি।

গরুমারা বন্যপ্রাণ ডিভিশন থেকে প্রথম বিন্নাগুড়িতেই থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা বা ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার ওই ধরনের বন্দুক দেওয়া হয়েছে। শীতের কুয়াশার এই মরশুমে বিশেষ করে ক্যামেরা ব্যবহারের সুফলও মিলছে হাতেনাতে। রেঞ্জ অফিসার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস বলছেন, ‘একলপ্তে এত সরঞ্জাম পেয়ে দারুণ সুবিধা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরার ব্যবহার করে ঘন কুয়াশায় ১০০ মিটার দূর থেকেও হাতির অস্তিত্ব টের পাওয়া গিয়েছে।’

উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভির বক্তব্য, ‘ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার অত্যাধুনিক বন্দুক বক্সাদুয়ার, জলদাপাড়া সহ গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখার বিভিন্ন রেঞ্জকেও দেওয়া হয়েছে। এক বছর পর পারফরমেন্স যাচাই করে দেখা হবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#forest department, #Animals, #Wild animals, #West Bengal, #cctv

আরো দেখুন