রাজ্যবাসীকে মনসা পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
আজ, সোমবার মনসা পুজো ৷ করোনার জেরে এ বছর পুজো সেভাবে ধুমধাম করে করা হয়তো সম্ভব হচ্ছে না ৷ ট্যুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি লেখেন, ‘‘ সকলকে জানাই মনসা পুজোর শুভেচ্ছা ৷ ’’
একটা সময় বাংলার গ্রামে শহরে ব্যাপক প্রচলিত ছিল জগৎগৌরী বা মনসা দেবীর পূজা। বিশেষত পূর্ববঙ্গের মানুষের যেখানে বসতি ছিল সেখানে এ পুজোর প্রচলন ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু হায়, সর্বগ্রাসী করোনার দাপট থাবা বসিয়েছে ঐতিহ্যের শিকড়েও। এবারে মনসা ঠাকুরের বিক্রেতারা হা পিত্যেশ করে বসে আছেন। কিন্তু বিক্রি নেই একদমই। কী যে হবে ভেবে মাথায় হাত তাদের। বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল একসময় বাংলার ঘরে ঘরে পঠিত হত। মনসা দেবী অভিজাত নন। তিনি প্রান্তিক মানুষের দেবতা।
জলা জঙ্গল অধ্যষিত গ্রামবাংলা বিশেষত পূর্ববাংলায় সাপের উপদ্রব ছিল খুব বেশি। পশ্চিমে আবার চাষের কাজ করতে গিয়ে সাপের ভয় ছিল খুবই৷ মনসা সাপের দেবী। তিনি শিবের কন্যা। নিজের পুজো প্রচলনে চাঁদ সদাগরকে নির্বংশ করেন। শেষ লক্ষীন্দরের বাসরে কালনাগিনীর প্রবেশে। বেহুলার ভেলা ভাসিয়ে স্বামীকে বাঁচিয়ে আনা। অবশেষে বাঁ হাতে মনসাকে পুজো দেন চাঁদ। মনসা পুরাণ বলে সেই থেকে বাংলার ঘরে ঘরে পুজিতা তিনি।