পশু-পাখির কবরস্থান তৈরি হচ্ছে শিবপুর বা বাঁশতলা শ্মশানঘাটের কাছে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মৃত পোষ্যকে কোথায় কবর দেওয়া হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেকেই। শহরে পোষ্যের সংখ্যা বাড়লেও সেই হারে তাদের জন্য হাসপাতাল বা কবরস্থান নেই। পশু-পাখির দেহ সৎকারের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় অনেকেই বস্তায় ভরে যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে যান। ফলে জনবহুল বসতি এলাকায় দুর্গন্ধে টেকা যায় না। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, আসলে পোষ্যদের প্রতি আমরা কতটা সদয় হতে পেরেছি, শহরে ওদের চিকিৎসা বা কবরস্থানের পরিকাঠামোর অভাবই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
এই সমস্যা দূর করতে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে হাওড়া পুরসভা। মৃত পশু-পাখিদের যাতে স্বল্প খরচে সৎকার করা যায়, তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, পশুপ্রেমীদের দাবি আমরা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী আমরা জমি খোঁজা হচ্ছিল। এখন বাঁশতলা না শিবপুর শ্মশানঘাটের কাছে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যেখানেই হোক, উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়া হবে। যেহেতু এটি শ্মশানঘাট চত্বরে হবে, তাই সাধারণ মানুষেরও সমস্যা হবে না।
পুরসভা আগে ভেবেছিল বেলগাছিয়া ভাগাড়ে সৎকারের জায়গা তৈরি করা যাবে। কিন্তু এখন সেখানে বায়ো মাইনিংয়ের কাজ চলছে। তিন-সাড়ে তিন বছর বাদে সেখান থেকে আবর্জনা সরে গেলে ফাঁকা মাঠ বেরিয়ে আসবে। পুরসভা চায়, ওই ফাঁকা জায়গায় সৌন্দর্যায়ন করতে কিংবা স্টেডিয়াম বানাতে। তাই বিকল্প জায়গার খোঁজে সমীক্ষা করে তারা।
এ নিয়ে হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, পশুপ্রেমীদের দাবি আমরা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী আমরা জমি খোঁজা হচ্ছিল। এখন বাঁশতলা না শিবপুর শ্মশানঘাটের কাছে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যেখানেই হোক, উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়া হবে। যেহেতু এটি শ্মশানঘাট চত্বরে হবে, তাই সাধারণ মানুষেরও সমস্যা হবে না।