পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান

বাটার চিকেন কার আবিষ্কার, তুমুল ঠোকাঠুকি দিল্লির দুই রেস্তোরাঁর মধ্যে

January 27, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দুটি এমন খাবার যার নাম শুনলে জিভে জল আসবেই। একটি বাটার চিকেন, অপরটি ডাল মাখানি। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির দুই রেস্তোরাঁর মধ্যে এ দুটি খাবার নিয়ে তুমুল ঠোকাঠুকি শুরু হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু এই খাবারের স্রষ্টা কে মূলত সে প্রশ্নেই গোল বেধেছে। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের কৃতিত্ব কার তা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট পর্যন্ত।

এক পক্ষে আছে মোতি মহল রেস্তোরাঁ। আর অন্য পক্ষে আছে দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ। দু’টিই দিল্লির দুই নামী রেস্তোরাঁ চেইন। বাটার চিকেন ও ডাল মাখানি আবিষ্কারের মুকুট কে পরবে, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে এ আইনি লড়াই চলছে।

মোতিমহল দাবি করছে, তার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা কুন্দললাল গুজরাল ১৯৩০ সালে বর্তমান পাকিস্তানের পেশাওয়ারে এই রেসিপি আবিষ্কার করেছেন। পরে রেস্তোরাঁটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। এনিয়ে ৭৫২ পাতার একটি নথি নিয়ে, ক্ষতিপুরণ ও স্বত্ব চেয়ে দিল্লি উচ্চ আদালতে মামলা করেছে তারা।
অন্যদিকে এসব দাবি মানতে নারাজ দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁ। তাদের দাবি, পারিবারিক সদস্য কুন্দল লালা জগগি ও কুন্দললাল গুজরাল দুজন মিলেই পাকিস্তানে একসঙ্গে এই রেসিপি আবিষ্কার করেছেন। যদিও এর প্রমাণ হিসেবে তারা ১৯৪৯ সালে নিবন্ধিত নথিও দেখিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কিছু।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে মামলাটি উঠেছে। এক মাসের মধ্যে দরিয়াগঞ্জ রেস্তোরাঁকে লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। দিল্লির হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৯ মে। ডাল মাখানি আর বাটার চিকেন নিয়ে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে পরবে স্রষ্টার মুকুট, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#delhi, #Butter Chicken, #Moti Mahal Restaurant, #Daryaganj Restaurant

আরো দেখুন