পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

শাঁখা পরতে এসেছিলেন স্বয়ং দেবী বিশালাক্ষী? হুগলির এই মন্দিরের কাহিনি জানেন?

February 5, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলার লৌকিক দেবী বিশালাক্ষী, বাংলার নানান প্রান্তে তাঁর মন্দির রয়েছে। হুগলি জেলার এক বিশালাক্ষী মন্দির ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনি। কথিত আছে, সেই মন্দিরে কুমারী রূপে শাঁখা পরতে এসেছিলেন খোদ দেবী বিশালাক্ষী। হুগলি জেলার পোলবার দাদপুরের সিনেট গ্রামে রয়েছে দেবীর মন্দির। বিশালাক্ষী এখানে দ্বিভুজা। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হালদাররা।

জোড়বাংলা স্থাপত্যরীতিতে তৈরি মন্দিরটি। শোনা যায়, একবার বর্ধমানের মহারাজা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার এক কর্মচারী পোলবায় থাকতেন। তিনি মহারাজকে দেবী বিশালাক্ষীর চরণামৃত এবং প্রসাদী ফুল দেন। সেই চরণামৃত পান করে মহারাজ সেরে ওঠেন। ১৮২২ সালে বর্ধমানের মহারাজাই পুরোনো মন্দিরের বদলে দেবীর বর্তমান মন্দিরটি বানিয়ে দিয়েছিলেন। মন্দিরের পাশে রয়েছে এক বিশাল পুকুর। কথিত আছে, সেই পুকুরের ধারে এক শাঁখারির থেকে কুমারী রূপে শাঁখা পরে দাম আনতে যাচ্ছি বলে স্থানীয় হালদার বাড়িতে চলে যান দেবী। মেয়েটি না ফেরায়, ওই শাঁখারি দাম আনতে হালদার বাড়িতে যান। হালদার কর্তা নিঃসন্তান, সবাই বুঝতে পারেন স্বয়ং দেবী এসেছিলেন।

সেই রাতেই হালদার কর্তা স্বপ্নাদেশ পান, দেবীকে পুকুরের পাশে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এরপর হালদার বাড়িতেই দেবীর মূর্তিটি স্থাপন করেন। ফাল্গুন সংক্রান্তিতে, আজও এখানে মেলা বসে। যা ‘রান্না খাওয়া’ মেলা নামে পরিচিত। ফাল্গুন সংক্রান্তিতে দেবীর বিশেষ পুজো হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের সংক্রান্তিতে মহাধূমধাম করে দেবীর জন্মদিন পালন করা হয়। দুর্গাপুজোর নবমীতেও এখানে উত্‍সবের আয়োজন করা হয়। ১০ই জ্যৈষ্ঠ বাসিন্দাদের আবদারে পালিত হয় উত্‍সব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#hooghly, #Vishalakshi Devi

আরো দেখুন