আজ ‘নেতাজির মৃত্যু দিবস’, বিতর্কিত পোস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
এবার বিতর্কিত পোস্টে নেতাজির মৃত্যুদিন কার্যত ঘোষণা করলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

একেই বলে দ্বিচারিতা! বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস সরকারের সমালোচানা করে মোদী জানিয়েছিলেন, নেতাজির ফাইল প্রকাশ্যে আনা হবে। দেশ নেতাজির মৃত্যুদিন মানে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কথায় নেতাজির মৃত্যুরহস্য রয়েই গিয়েছে। সেখানে মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য দেবশ্রী চৌধুরী কীভাবে নেতাজির মৃত্যুদিন পালন করেন? সামাজিক মাধ্যমে আজকের দিনকে নেতাজির ‘প্রয়াণ দিবস’ উল্লেখ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
নেতাজির মৃত্যু নিয়ে সরাসরি কোনও সরকারই মুখ খোলেনি। পঞ্চাশের দশকে শাহনওয়াজ কমিশন জানিয়েছিল, তাইওয়ানে ১৮ অগাস্ট, ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছে। নেহেরু সরকার তা মেনে নেয়। তারপরও যাটের দশকে খোসলা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। দুই কমিশন যখন একই সুর শুনিয়েছিল কিন্তু নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু মুখার্জি কমিশন খারিজ করে দেয়। যদিও কংগ্রেস সরকার আমল দেয়নি মুখার্জি কমিশনের রায়কে।
‘প্রয়াণ দিবসে’ নেতাজিকে স্মরণ করলেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক (Ramesh Pokhriyal Nishank)। তিনি লিখলেন,”আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, অদ্বিতীয় যোদ্ধা এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী সেনানি নেতাজিকে তাঁর পূণ্য তিথিতে কোটি কোটি প্রণাম।”
আরেক শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেত্রী তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকেও একই ভুল করতে দেখা গেল। টুইট করে তিনিও নেতাজির ‘মৃত্যুদিন’ পালন করলেন। টুকটাক টুইট করলেন গেরুয়া শিবিরের ছোটখাটো নেতারাও। অর্থাৎ বিজেপির এই নেতারাও একপ্রকার ঘোষণা করে দিলেন ১৮ আগস্টই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালে কংগ্রেসের দলীয় টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বলা হল, ”নেতাজি একজন জাতীয় নায়ক। দেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আজকের প্রজন্মের কাছে আদর্শ। তাঁর প্রয়াণ দিবসে আমরা আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।” এরপর হার্দিক প্যাটেল থেকে শুরু করে কংগ্রেসের ছোট-বড় নেতারা নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট করা শুরু করলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে নেতাজির মৃত্যু নিয়ে টুইট করে বেকায়দায় পড়েছিলেন রাজনাথ সিংহ এবং অরুণ জেটলি। এবার বিতর্কিত পোস্টে নেতাজির মৃত্যুদিন কার্যত ঘোষণা করলেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।