কৃষক বিক্ষোভে ধুন্ধুমার দিল্লি-নয়ডা সীমানা, ফিরে এল তিন বছর আগের স্মৃতি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গোটা দেশ ফের উত্তাল হবে কৃষক বিক্ষোভে? সেই জল্পনা আবার উসকে দিল বৃহস্পতিবারের ঘটনা। অধিগৃহীত জমির জন্য অধিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানকে কেন্দ্র করে এদিন ধুন্ধুমার হল দিল্লি সীমানায়।
মুহূর্তে ‘সিল’ করে দেওয়া হল পুরো সীমানা। জারি করা হল ১৪৪ ধারা। কিন্তু ব্যারিকেড ভাঙলেন আন্দোলনকারীরা। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেল পুলিস-প্রশাসন। কৃষকদের আন্দোলন কর্মসূচির জেরে দিল্লি-নয়ডা সীমানায় সৃষ্টি হল তীব্র যানজট। ভোগান্তির শিকার হলেন হাজার হাজার মানুষ। উল্লেখ্য বছর তিনেক আগে কেন্দ্রের ‘বিতর্কিত’ তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। তা নিয়ে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লির সীমানায়।
এবারের ঘটনাস্থল দিল্লি-নয়ডার চিল্লা। মুহূর্তে ‘সিল’ করে দেওয়া হল পুরো সীমানা। জারি করা হল ১৪৪ ধারা। কিন্তু ব্যারিকেড ভাঙলেন আন্দোলনকারীরা। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গেল পুলিস-প্রশাসন। কৃষকদের আন্দোলন কর্মসূচির জেরে দিল্লি-নয়ডা সীমানায় সৃষ্টি হল তীব্র যানজট। ভোগান্তির শিকার হলেন হাজার হাজার মানুষ।
দিনের শেষে অবশ্য সুর নরম করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। যাবতীয় ইস্যু নিয়ে শীঘ্রই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রতিশ্রুতি পেয়ে সীমানা অবরোধ মুক্ত করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা পরে খুলে দেওয়া হয়েছে দিল্লি-নয়ডা সীমানা। যদিও কৃষকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি না মেটা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে তাঁদের অবস্থান চলবেই। সারা ভারত কিষান সভার অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কৃষকদের কম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য আশ্বাসও পূরণ করা হয়নি। যার জেরে গত ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার কৃষকরা। বৃহস্পতিবার ট্রাক্টর নিয়েই সীমানায় হাজির হয়ে যান আন্দোলনকারীরা। সিঁদুরে মেঘ দেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করে পুলিস।