Polytechnic-এ ভর্তি হতে আর দিতে হবে না জেক্সপো পরীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ছাত্র-ছাত্রীদের আর দিতে হবে না জেক্সপো পরীক্ষা। মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতেই তারা পলিটেকনিক অর্থাৎ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।
শুধু পলিটেকনিকই নয়, আইটিআই, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার (ভিটিসি) গুলিতে ছাত্রভর্তিও হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। প্রতিটি শাখা যেমন, ডিরেক্টরেট অব টেকনিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিটিইটি), ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং (ডিআইটি), ডিরেক্টরেট অব ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিভিইটি)-এর ডিরেক্টররা এবং সংসদের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক একটি কমন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম বানাবেন। সবটাই দপ্তরের তদারকিতে হবে। তার মাধ্যমেই আবেদন জানাবে ছাত্রছাত্রীরা।
কারিগরি শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, প্রয়োজনে গণিত এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে প্রাপ্ত নম্বরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে, পূর্ণাঙ্গ বিধি এখনও তৈরি হয়নি। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, পলিটেকনিক, আইটিআই বা ভিটিসিগুলি যে জেলায় অবস্থিত, সেই জেলার জন্য ৫০ শতাংশ কোটা থাকবে। আর বাকি গোটা রাজ্যের জন্য থাকবে ৫০ শতাংশ কোটা। ছাত্রীদের জন্য ২০ শতাংশ সিট সংরক্ষণ থাকবে। সংরক্ষিত আসনগুলিতে প্রার্থী না মিললে সেগুলিকে সাধারণ পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
মপ আপ কাউন্সেলিং হবে বিকেন্দ্রীয়ভাবে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিতেই। এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষার কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এআইসিটিইর অনুমোদন সাপেক্ষেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশেই প্রযুক্তি শিক্ষায় ভর্তির চিত্র ভালো নয়। সেই কারণে নানা ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির তরফে। তার মধ্যে বিশেষ কিছু বিষয় ছাড়াই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির ছাড়পত্র রয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে পলিটেকনিকে পড়ুয়া ভর্তির চিত্র একেবারেই আশাব্যঞ্জক ছিল না। সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদের হাত থেকে পড়ুয়া ভর্তির ক্ষমতা নিজের হাতে নিচ্ছে কারিগরি শিক্ষাদপ্তর।