পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে মারাত্মক মিথ্যাচার করছে কেন্দ্র, বললেন অমিত মিত্র
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিকশিত ভারতে এখন কোটি কোটি মানুষ বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে বলেন, সিএমআইই রিপোর্ট বলছে, বিকশিত ভারতে এখন ৪.২ কোটি মানুষ বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছেন। ২০১৮ সালের পর থেকে ১৩.৫ কোটি মানুষ কাজ পেয়েছেন। কিন্তু মাত্র ৫০ লক্ষ মানুষ সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি পেয়েছেন। বাকি ১৩ কোটি মানুষ কী করছেন, তার তথ্য নেই। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, এদেশে ৪৫ কোটি মানুষ কাজ খুঁজতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন, কারণ কাজ পাচ্ছেন না। শিল্পক্ষেত্রে অবস্থা এতই কঠিন যে মানুষ আবার চাষাবাদে ফিরছেন। এই প্রবণতা অর্থনীতিতে অত্যন্ত খারাপ লক্ষণ। দেখা যাচ্ছে, মোদি সরকার ধারাবাহিকভাবে কৃষি বা ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়েছে। খাদ্যে ভর্তুকি কমেছে ৩.৩ শতাংশ। সারে ১৩, নগর ঢেলে সাজার বরাদ্দে ২১.২ শতাংশ ছাঁটাই হয়েছে। খাদ্যশস্য পরিবহণে রাজ্যগুলির জন্য আর্থিক সহায়তা কমানো হয়েছে ১৭ শতাংশ। বিকশিত ভারতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ১০ শতাংশ। তার মূল্য চোকাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের পরিকাঠামোখাতে খরচ বাড়ানো প্রসঙ্গে অমিত মিত্র বলেন, কেন্দ্র ভেবেছিল বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। কিন্তু সেই ফর্মুলা ডাহা ফেল করায়, তারা নিজেরাই পরিকাঠামো খাতে খরচের হাল ধরে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রার ৪১ শতাংশই তারা খরচ করতে পারেনি। এমনকী মূলধনী খরচ করার জন্য তাদের যে সহায়তা প্রকল্প আছে, সেখানেও পরিস্থিতি অতি সঙ্গীন। আসলে পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে মারাত্মক মিথ্যাচার করছে কেন্দ্র।
এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পেশ হওয়া রাজ্য বাজেট প্রসঙ্গে অমিত মিত্র বলেন, বাজেটটি নজর দিলেই বোঝা যাবে, স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজের বাজার বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে চার শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে ঋণগ্রহীতাদের। বাকিটা সরকার বহন করবে। এতে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দিতে উৎসাহিত হবে। এই স্কিম দেশে কোথাও নেই। একই সঙ্গে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শিক্ষানবিশদের জন্য মাসিক আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হবে। এতে বেসবকারি শিল্পক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ বাড়াবে।