প্রতি দুই শিশুর একজন মোবাইলে আসক্ত! ভয়ঙ্কর তথ্য সমীক্ষায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিশুকে ভোলাতে এখন আর ছড়া বলেন না মায়েরা, সন্তানকে ব্যস্ত রাখতে হাতে তুলে দেন মোবাইল। সেটাই ব্যুমেরাং হচ্ছে। মোবাইল গেলে গেলে প্রথমে কান্না, তারপর চিৎকার, এমনকি মার পর্যন্ত জুটছে মা-বাবার। বাধ্য হয়েও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হচ্ছেন বাবা-মা। একটু বড় অর্থাৎ যারা কৈশোরে পৌঁছেছে, তারা আবার অন্য রকম সমস্যায় পড়ছেন। অনেক কিশোরীই রোমিও গ্যাং শিকার হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, এ সবের মূলে রয়েছের স্ক্রিন অ্যাডিকশন। নাওয়া-খাওয়া ভুলে মোবাইলের স্ক্রিনের নেশায় ডুবে যাচ্ছে শৈশব থেকে কৈশোর। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি দু’জনের মধ্যে একজন শিশু-কিশোর এখন ভয়াবহ মোবাইল আসক্তিতে ভুগছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তারা ডুবে রয়েছে স্ক্রিনে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বয়ঃসন্ধির প্রায় ৪৮ শতাংশ ছেলেমেয়ে এই নেশায় মত্ত। প্রতি পাঁচজন শিশুর একজনই মোবাইলের নেশায় আসক্ত। ফোন কেড়ে নিলেই খাওয়া বন্ধ, জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলা এবং প্রচণ্ড চিৎকার; মোটামুটি উপসর্গগুলো এক।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বাচ্চাদের মোবাইলে আসক্তি নেশায় পরিণত হয়েছে। পড়াশোনার জন্য যে প্রযুক্তি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা কাল হয়েছে। প্রতি দু’টি বাচ্চার মধ্যে একজন স্ক্রিন অ্যাডিকশনের শিকার। ছবি, কার্টুন, গান, রিল ইত্যাদি দ্রুত ডোপামিন ক্ষরণ করাচ্ছে বাচ্চাদের। তারা আসক্ত হয়ে পড়ছে। মুক্তির একমাত্র পথ বাচ্চাদের হাত থেকে মোবাইল সরিয়ে ফেলা।