আচমকা আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার নোটিস বর্ধমানে, কারণ নিয়ে জল্পনা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আধার কার্ড ‘ডিঅ্যাক্টিভেট’ করা হয়েছে। এই তথ্য উল্লেখ করে গত কয়েকদিন ধরে ডাকযোগে এমন চিঠি পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বহু পরিবার। এই চিঠির বয়ানে কারণ হিসেবে যেটা লেখা হয়েছে সেটা পড়ে কপালে চোখ উঠেছে বাসিন্দাদের। কারণ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আধার কার্ডের ২৮(এ) রেগুলেশনে সংশ্লিষ্ট কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে। অর্থাৎ বিদেশি বলে সন্দেহ অথবা বাসস্থান সংক্রান্ত নথি উপযুক্ত না থাকলে এই ধারায় আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়। চিঠি হাতে পেয়ে এখন চরম আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা।
জামালপুরের বিডিও পার্থসারথি দে বলেন, কে বা কারা নোটিস পাঠাচ্ছে তা আমাদের জানা নেই। পোস্টঅফিস কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারেনি। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, চিঠির নীচে রিজিওনাল অফিস রাঁচি বলে উল্লেখ রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য নোটিসের নীচে একটি ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। সেই নম্বরে ফোন করা যাচ্ছে না। চিঠি পেয়েছেন পুতুল সরকার নামে এক মহিলা। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা ৩০ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছেন। প্রতিবারই আমরা ভোট দিই। রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড সবই রয়েছে। তারপরও কেন আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পেলাম, তা বুঝতে পারছি না। আর এক বাসিন্দা বিপুল বিশ্বাস বলেন, আমরা বহু বছর ধরে ভোট দিয়ে আসছি। তা বাতিল হয়নি। অথচ সমস্তরকম নথি দিয়ে আধার কার্ড তৈরির পর তা বাতিলের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে জানি না। চিঠি পাওয়া আর এক বাসিন্দা বলেন, আধার কার্ড তৈরির সময় সমস্ত নথি দেখা হয়েছিল। লাইন দিয়ে কার্ড তৈরি করতে হয়েছে। তারপরও কেন কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হবে, তা বুঝে উঠতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা উচিত। আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে সমস্যায় পড়ে যাব।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, যাতে ভোট দিতে না পারে, সেই কারণে অনেকের আধার বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তার পরেই আধার বাতিলের খবর প্রকাশ্যে আসায় এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।